এবার জিডি বিড়লা স্কুল(GD Birla School Update) কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ। এই অভিযোগ তুলে আজ, সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) দ্বারস্থ হতে চলেছেন অভিভাবকরা। উল্লেখ্য, যে সব পড়ুয়ার কোনও বকেয়া নেই, শুধুমাত্র তাদের জন্য সোমবার থেকে স্কুল খোলার কথা ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আর সেই বিজ্ঞপ্তি ঘিরেই শুরু হয়েছে নতুন সংঘাত।
গত বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court) নির্দেশ দেয়, ফি বকেয়া থাকলেও কোনও পড়ুয়াকে ক্লাস করা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। সব পড়ুয়াকে নতুন ক্লাসে উত্তীর্ণ করতে হবে এবং তাদের প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। আটকে রাখা যাবে না মার্কশিট। বুধবারই আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ফি দেওয়ায় রিপোর্ট কার্ড(Report Card) দেওয়া হয়নি বেশকিছু ছাত্রীকে। এদিকে রিপোর্ট কার্ড দেখাতে না পারায় 'সরি' বলে স্কুলের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অভিভাবকেরা জানান, আদালত যে পরিমাণ বেতন দিতে বলেছিল, সেটাই দেওয়া হয়েছে, তা সত্ত্বেও স্কুল পড়ুয়াদের প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন- JNU: রামনবমীতে মাংস খাওয়া নিয়ে বিবাদ, বাম-এবিভিপি সংঘর্ষে রক্তাক্ত হল জেএনইউ
এরপর বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে ছ’টা নাগাদ জি ডি বিড়লা স্কুলে পৌঁছে পড়ুয়ারা দেখেন মূল গেট বন্ধ। সেখানে ঝোলানো রয়েছে নোটিস। পড়ুয়াদের নিরাপত্তার স্বার্থে স্কুল বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে নোটিসে উল্লেখ করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এদিকে, গোটা বিষয়ের ওপর নজর রাখছে রাজ্য সরকার। জানা গেছে, প্রয়োজনে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে পারে স্কুল শিক্ষা দফতর(School Education Department)।
স্কুলে বেশকিছু পড়ুয়াকে ঢুকতে না দেওয়ায় আদালতের দারস্থ হন সেইসব পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের(Kolkata High Court) ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, বেসরকারি স্কুলে ফি(School Fee) বকেয়া থাকলেও পড়ুয়াদের ক্লাসে ওঠা আটকানো যাবে না। ক্লাস করার ক্ষেত্রেও বাধা দেওয়া যাবে না। আদালতের এই রায়ে নৈতিকভাবে জয় পান অভিভাবকরা। অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, বিড়লা গ্রুপ গুটিকয়েক অভিভাবকের কাছে হার মানতে না পেরে স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে। তাঁরা মনে করান, ২০১৭ সালে জি ডি বিড়লা স্কুলে(GD Birla School) যখন পড়ুয়ার যৌন হেনস্তার অভিযোগ ওঠার পরেও একই পদক্ষেপ নেয় স্কুল।