যত তদন্ত এগোচ্ছে ততই নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে হরিদেবপুরের যুবক অয়ন মণ্ডল খুনের ঘটনায়। একটি সালিশি সভার কথা সামনে এসেছে। পুলিশ সূত্রের দাবি, অয়ন তাঁর বান্ধবী এবং বান্ধবীর মায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি নিয়ে ব্ল্যাকমেল করতেন। তা জানতে পারেন বান্ধবীর বাবা। তারপরে এলাকায় একটি সালিশি সভা বসানো হয়েছিল। কিন্তু ওই সালিশি সভায় কী হয়েছিল? কে বা কারা উপস্থিত ছিলেন ওই সালিশি সভায় সেই বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য জানতে পারেনি পুলিশ। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানার চেষ্টা করা হচ্ছে পুলিশে অভিযোগ না জানিয়ে কে ওই সালিশি সভার পরামর্শ দিয়েছিল।
ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই অয়ন খুন হয়েছেন বলে মত স্থানীয়দের একাংশের। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের জেরা করে নতুন নতুন তথ্য মিলছে। তাই আন্দাজ করতে পারলেও ঠিক কী কারণে অয়নকে খুন হতে হয়েছে তা এখনই স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
দশমীর দিন রাত দুটো নাগাদ অয়নকে ডেকে পাঠান বান্ধবীর মা। বাড়িতে তখন একাই ছিলেন তিনি। কিন্তু আড়াইটে নাগাদ বাবা-ভাইকে নিয়ে বাড়ি এসে অয়নকে মায়ের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে বান্ধবী। এরপরেই ওই খুনের ঘটনা ঘটে বলেই অনুমান। তবে, প্রবল আক্রোশ না থাকলে যে এইভাবে খুন করা যায় না, তা স্বীকার করে নিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী আধিকারিকরাও।
একাদশীর সকালে মগরাহাটের একটি খাল থেকে অয়নের দেহ উদ্ধার করা হয়। দ্বাদশীর দিন দেহের শনাক্তকরণ হয়। তদন্তে নেমে হরিদেবপুর থানা অয়নের বান্ধবী, তাঁর বাবা, মা, নাবালক ভাই-সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করে। এরপরেই সামনে আসে বান্ধবী এবং তাঁর মায়ের সঙ্গে অয়নের সম্পর্কের কথা। অয়নের মোবাইলে দু'জনের সঙ্গেই অয়নের ঘনিষ্ঠ ছবি এবং ভিডিয়ো ছিল। তবে, এখনও অয়নের মোবাইল খুঁজে পায়নি পুলিশ। ফলে, সেই সব ছবি এবং ভিডিয়ো এখনও পুলিশের হাতে আসেনি।