রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে শুক্রবার ইডি তল্লাশি চালিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ মডেল-অভিনেত্রী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করে 'টাকার পাহাড়'। উদ্ধার হয় প্রায় ২১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। এছাড়া উদ্ধার হয় প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ও ৫০ লক্ষ টাকার সোনা। দুজনকেই ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কিন্তু সাধারণ মানুষের মনে এখন একটাই প্রশ্ন, ওই বিপুল পরিমাণ টাকার কী হবে?
শুক্রবার রাতেই কোটি কোটি টাকার খোঁজ মেলার পর অর্পিতার ফ্ল্যাটে আসেন ব্য়াঙ্কের কর্মীরা। আসে টাকা গোনার মেশিন। শুরুতে শোনা যায় মোট টাকার পরিমাণ প্রায় ২০ কোটি। শেষ পর্যন্ত গণনাপ্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর দেখা যায় মোট টাকার পরিমাণ ২১ কোটি ২২ লক্ষ টাকা। শনিবার বিকাল সাড়ে তিনটে নাগাদ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে অর্পিতা যে আবাসনে থাকেন সেখানে পাঠানো হয় একটি বিশাল ট্রাক। সেই ট্রাকেই তোলা হয় টাকা বোঝাই ২০টি ট্রাঙ্ক।
আরও পড়ুন- SSC Scam:অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে ২০ ট্রাঙ্ক বোঝাই টাকা নিয়ে গেল ইডি
জানা গিয়েছে, আপাতত ব্যাঙ্কের লকারেই রাখা থাকবে এই টাকা। বাজেয়াপ্ত করা প্রতিটা নোটের নম্বর মিলিয়ে তা লেখা থাকবে হিসাবের খাতায়। বর্তমানে এই বিশাল অঙ্কের টাকা রাখা রয়েছে এসবিআইয়ের স্ট্র্যান্ড রোড শাখার লকারে।
সাধারণত, কোনও চুরি বা ডাকাতির ঘটনায় বাজেয়াপ্ত করা অর্থ পুলিশ তাঁদের মালখানায় রাখে। মামলা চলাকালীন সময় ওই টাকার কোনও দাবিদার সামনে এলে তা যথাযথ প্রমাণ সহ তা তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়। অন্যথায় তা সরাসরি চলে যায় সরকারি কোষাগারে। তবে এক্ষেত্রে যেহেতু টাকার অঙ্ক একেবারে কোটির গণ্ডি ছাড়িয়েছে, তাই সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছে রিজার্ভ ব্যঙ্ক। যতদিন অর্পিতার বিরুদ্ধে মামলা চলবে, ততদিন তাঁর নামেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হেফাজতে থাকবে এই টাকা। যদি মামলা চলাকালীন অর্পিতা যথাযথ প্রমাণ দিতে পারেন যে ওই টাকা তিনি বৈধভাবে উপার্জন করেছেন, তবে তা তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে, অন্যথায় তা চলে যাবে সরকারি কোষাগারে। অর্পিতাকে যদি টাকা ফেরত দিতে হয় তাহলে ঠিক যে নোটগুলি অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল সেই নোটগুলিই তাঁকে ফেরত দেওয়া হবে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে বাজেয়াপ্ত টাকা ব্যাঙ্ক ‘ফিজিক্যালি’ নিজের হেফাজতে রাখবে, অন্য কোথাও খাটাতে পারবে না।