মাত্র ৭২ ঘণ্টা। বদলে গেল সুর। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ানো হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের মা এবার দাবি করলেন, তাঁর মেয়ে নির্দোষ। এমন কোনও কাজ হৈমন্তী করতে পারেন না, যা তাঁর পরিবারকে প্রভাবিত করে। গত শুক্রবারই হৈমন্তীর মা বুলা গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তাঁর মেয়ে মরে গিয়েছে। কোনও খোঁজ তাঁরা রাখেন না। সম্প্রতি হৈমন্তীকে এই ঘটনায় নির্দোষ বলেই দাবি করেন তাঁর প্রাক্তন স্বামী গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়।
ছাপোষা মধ্যবিত্ত থেকে বাংলা ছবি অভিনেত্রী। একইসঙ্গে আবার মডেলও। কার্যত উল্কার মতোই উত্থান হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের। আর এই পরিবর্তনেই নাকি অতিষ্ঠ হতেন তাঁর প্রতিবেশিরা। এমনটাই অভিযোগ। বেহালার যে ফ্ল্যাটে হৈমন্তী থাকতেন, সেখানকার বাসিন্দাদের অভিযোগ রাত হলেই বাড়ত উদ্দমতা। বাড়ত চড়া মিউজিকের আওয়াজ। আর নাইট পার্টিতে হুল্লোড়ের শব্দে রাতের ঘুম উড়ত সবার। একাধিকবার এই ব্যাপারে অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে নাকি কানই দেননি হৈমন্তী। রাজ্য নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এখন হৈমন্তীই আলোচনার কেন্দ্রে। তাঁর উপরেই নজর কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডির।
হৈমন্তী যে ছাপোষা পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন, সেই প্রমাণ মেলে তাঁর প্রাক্তন স্বামী গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়ের বয়ানে। শনিবার গোপাল দাবি করেছিলেন, হৈমন্তীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল একটি চিট ফান্ডের দফতরে। ওই দফতরে তখন কাজ করতেন গোপাল। আর চাকরি চাইতে এসেছিলেন হৈমন্তী। গোপাল নিজেই জানিয়েছেন, ২০১১ সালে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। প্রথমে অবশ্য হৈমন্তীর বাড়ি থেকে গোপালকে মেনে নিতে পারেনি।
সম্প্রতি কুন্তল ঘোষের বয়ানেই উঠে এসেছে হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। কিন্তু হৈমন্তী কোথায়, সেটাই এখন রহস্য ? নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এই মহিলাকেই এখন খুঁজছেন ইডির কর্তারা।