ছুটি শেষ। সোমবার থেকে খুলছে রাজ্য়ের সব সরকারি স্কুল। ইতিমধ্যেই তা জানিয়ে দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর। রাজ্যের শিক্ষাবিদদের মতে, এবারের গরমের ছুটিকে কেন্দ্র করে অনেক তর্ক- বিতর্ক থাকতে পারে। তবে পড়ুয়াদের কথা ভেবে রাজ্য যে ভাবে এই প্রক্রিয়াকে সম্পন্ন করেছে তা তারিফ যোগ্য বলেই দাবি শিক্ষাবিদদের। তাঁদের মতে, এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় স্কুলগুলিতে গরমের ছুটির কথা বলেছিলেন, তখন প্রবল দাবদাহে তেতে ছিল বাংলা। ওই পরিস্থিতিতে অনেক স্কুলেই পড়ুয়ার সংখ্য়া কমতে শুরু করেছিল। আবার জেলার অনেক স্কুল থেকেই পড়ুয়াদের অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছিল।
এই বছর দোসরা মে গরমের ছুটি পড়েছিল। প্রথমে তা খোলার কথা ছিল ১৫ জুন। কিন্তু রাজ্যের করোনার বাড়বাড়ন্তের কথা মাথায় রেখেই আরও ১১দিন স্কুল খোলার দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সরকারি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। আবার অনেকে আদালতে পর্যন্ত গিয়েছেন। মূলত উত্তরবঙ্গের অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ ছিল, প্রায় দু বছর করোনার জন্য স্কুল বন্ধ ছিল। তারউপর এত দীর্ঘ গরমের ছুটির কী প্রয়োজন ছিল ? এটা ঠিক যে, তাঁরা যখন এই প্রশ্ন তুলেছিলেন, তখন উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া খানিকা নরম হয়েছিল। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গ বিশেষ করে পশ্চিমের জেলাগুলিতে দহন অসহ্য হয়েছিল। প্রায় একই প্রশ্ন তুলে আদালতে উঠেছে এবারের গরমের ছুটি। রাজ্যের কাছ থেকে হলফনামাও চেয়েছে হাই কোর্ট।
তবে, সরকারি নির্দেশিকাকে কার্যত উড়িয়েই গত সোমবার থেকে শহরের বেশ কয়েকটি বেসরকারি স্কুল চালু হয়েছে। মূলত সিএনআইয়ের অধীনের স্কুলগুলিতে ফের ক্লাস শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় আবার সোমবার খুলছে সরকারি স্কুল।