পুজো আর ভ্রমণ, বাঙালির একাংশের কাছে এই দুটি শব্দ যেন সমার্থক। পুজোয় কলকাতার ভিড়, খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেশ-বিদেশে পাড়ি জমান অনেকেই। তিন মাস আগে থেকে টিকিট কাটার তোড়জোড় চলে। আর পুজোর ছুটি শুরু হওয়ার আগে থেকে চলে প্যাকিং। সবাই যখন মার্কেটিং, প্যান্ডেল হপিংয়ে ব্যস্ত, সেই সময়টা একান্ত নিভৃতে প্রিয়জনের সঙ্গে কাটান অনেক বাঙালি। পুজোর দিনগুলিতে ট্রেনযাত্রা করলে অনেক সময়ই খুব হতাশ লাগে। বাংলার সীমানা পেরোতেই পুজো পুজো গন্ধ উধাও। তাই সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীতে যারা ট্রেনযাত্রা করবেন, তাঁদের জন্য বিশেষ মেনু আনল IRTCT। থাকছে মাছের কালিয়া থেকে মুর্গ পোলাও, কাঁচালঙ্কা চিকেন থেকে মিষ্টি।
পুজোর দিনগুলি ট্রেনযাত্রা করলে শতাব্দী, রাজধানী, বন্দেভারত বা দুরন্ত এক্সপ্রেসে থাকবে বিশেষ মেনু। IRCTC-এর পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, খাবার গরম করলেও যেন স্বাদের তারতম্য না ঘটে, সেদিকে নজর দিচ্ছে ভারতীয় রেলের ক্যাটারিং সংস্থা। বিভিন্ন অঞ্চলের উৎসবের কথা মাথায় রেখে এক একটি জোনে থাকছে স্পেশাল মেনু। এছাড়া হাওড়া, শিয়ালদহ-সহ বড় স্টেশনের ফুডপ্লাজাতেও বিভিন্ন পুজো স্পেশাল খাবার পাওয়া যাবে।
পুজোর সময় ট্রেনসফরে যে প্রাতঃরাশ দেয় IRCTC, তার নাম দেওয়া হয়েছে 'আগমনী'। এই মেনুতে থাকবে কড়াইশুটির কচুরি, ছোলার ডাল ও সন্দেশ। সপ্তমীতে নিরামিষ থালি রাখা হয়েছে। ওই থালিতে থাকবে বাসন্তী পোলাও, লুচি, আলু বা বেগুন ভাজা। ভাজা মুগের ডাল। নিরামিষ ডিশের মধ্যে অপশনাল তিনটি আইটেম থাকছে। দই পটল, ছানার ডালনা ও নবরত্নকারি। যে কোনও দুটি ডিশ অর্ডার করতে পারবেন যাত্রীরা। অষ্টমীর দিনও প্রাতঃরাশ-সহ নিরামিষ থালি রাখা হয়েছে। এদিন মেনুতে সামান্য বদল করা হয়েছে। থাকছে মালাই কোপ্তা, আলু-পনির, মটরশুটির তরকারি, চাটনি, পাঁপড়, রাজভোগ ও মিষ্টি।
নবমীর দিন সম্পূর্ণ আমিষ খাবারের আয়োজন করেছে IRCTC। মেনুতে থাকছে ইলিশে থালি, মাটন থালি। অন্য দিনের নিরামিষ খাবারের আইটেমও থাকবে। যদি ইলিশের থালি অর্ডার করা হয়, মেনুতে থাকবে সরষে ইলিশের পদ। বিকল্প মেনুতে থাকছে আলু দিয়ে কচি পাঁঠার ঝোল।