এই রাজ্যে কল থেকে ধোঁয়া ওড়ার সংস্কৃতি বন্ধ হয়ে গিয়েছে দীর্ঘ সময় আগেই। তবুও, ফি বছর শীত শুরুর আগে রাজ্যের একাধিক জেলায় গ্রাস করে কালো ধোঁয়া। বিশেষ করে পুজোর পর কলকাতা ও তার সংলগ্ন হাওড়ার বেশ কিছু অঞ্চলে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। এবারও হয়েছে। তাহলে কী বিষের বাঁশি জানান দিচ্ছে এই রাজ্যেও। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের পরিসংখ্যান সেইরকমই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
দিল্লির দূষণ এই সময় চর্চার কেন্দ্রেই থাকে। কিন্তু গত কয়েক বছরে দেখা যাচ্ছে নভেম্বরের শেষ থেকে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত দূষণের মানচিত্রে উঠে আসছে কলকাতার নামও। দিল্লির ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে ইতিমধ্যেই দেশের বাকি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। সেই চিঠি এসেছে নবান্নতেও।
বাতাসে দূষণের সূচক AQI । সেই সূচকের মাত্রা অনুযায়ী, যদি শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে তা হলে তা ভাল পর্যায়ের মধ্যে পড়ে। ৫১-১০০ সন্তোষজনক, ১০১-২০০ সামান্য খারাপ, ২০১-৩০০ খারাপ, ৩০১-৪০০ খুব খারাপ, ৪০১-৫০০ অতি ভয়ানক। এই পরিস্থিতিতে শহরের দূষণ মোকাবিলায় কি কাজ করছে কলকাতা পুরসভা ?
কলকাতা পুরসভার মেয়র এই দাবি করলেও, দূষণের মাত্রায় বাংলার উদ্বেগ বাড়াচ্ছে একসময়ের ম্যানচেস্টার হাওড়া। কেন্দ্রীয় সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, হাওড়া কমবেশি এলাকা ২০০-এর উপরে। এবং ৩০০-এর কাছাকাছি। এরমধ্যে শীর্ষে রয়েছে ঘুসুড়ি। সেখানে দূষণ রেকর্ড হয়েছে ২৯৩। কলকাতায় সবচেয়ে বেশি দূষণ রেকর্ড হয়েছে ফোর্ট উইলিয়াম এলাকায়। সেখানে মাত্রা ২২৭।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, দিল্লি প্রভাব অনুভূত না হলেও, এর মধ্যে বৃষ্টি না হলে বাংলাতেও এবার দূষণের প্রকোপ আরও বাড়বে। এর জন্য সরকারকে আগাম সর্তক হতে পরামর্শ দিয়েছেন তারা।