চার পুরভোটের ফলে বিধাননগরের (Bidhannagar) কোনও ব্যতিক্রম হল না। ৪১ ওয়ার্ডের এই পুরসভায় বিপুল ব্যবধানে জিতল শাসক তৃণমূল কংগ্রেস (Tmc)। ইতিমধ্যেই শিলিগুড়িতে মেয়র মুখ হিসাবে গৌতম দেবের (Goutam Deb) নাম ঘোষণা করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। প্রশ্ন হচ্ছে বিধাননগরের মেয়র কে হবেন ? কারণ, সব্যসাচী দত্ত (Sabyasachi Dutta) তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (Bjp) গিয়ে, আবার তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। আবার তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশেই বিধাননগরে কাজ করেছেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী (Krishna Chakraborty)।
এই জল্পনার মধ্যেই বিধাননগরের ভোটে জিতে সোমবার সকালেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে হাজির হন সব্য়সাচী দত্ত। সেখান থেকেই যান অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের কাছে। সব্যসাচীর দাবি, অভিষেকের সঙ্গে তাঁর ও তাঁর পরিবারের ঘরোয়া আলোচনা হয়েছে। সব্যসাচীকে পাশে নিয়েই ভিকট্রি সাইন দেখান অভিষেক (Abhishek Banerjee)।
আরও পড়ুন : শিলিগুড়ির 'বাধা' টপকে নতুন মেয়র হিসেবে গৌতম দেবের নাম ঘোষণা মমতার
মমতা কী বললেন? জবাবে সব্যসাচী বলেন, ‘‘জয়ের পর দলনেত্রীর আশীর্বাদ নিতে গিয়েছিলাম। দিদি আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেছেন, আজ ভ্যালেন্টাইন’স ডে, ও তোমাকে কী দিয়েছে? স্ত্রী জবাবে জানিয়েছেন, কিছুই না। তখন লতাদি’কে বলে একটি শাড়ি আনিয়ে স্ত্রীকে দিয়েছেন। আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।’’ দলনেত্রীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে সব্যসাচীর গাড়ি যায় ফিরহাদের বাড়িতে। সেখান থেকে তিনি যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।
ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘দিদি বলছেন, এটা মানুষের জয়। কিন্তু আমরা বলব, এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়। কারণ মানুষ দিদিকে দেখেই মানুষ আমাদের প্রার্থীদের সমর্থন জানিয়েছেন। ৩০, বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট আমাদের মন্দির। সেখানে আমরা প্রণাম করতে যাই। আমিও গিয়েছিলাম, সব্যসাচীও গিয়েছে। আমার বাড়িটা যে হেতু কাছে তাই দেখা করে গেল।’’
শুধু সব্যসাচী দত্ত নন, নিজের ওয়ার্ডে জিতে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান বিধাননগরের বিদায়ী মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীও। তিনি বলেন, ‘‘অভিষেক আমার পুত্রসম। জন্মের পর ওঁকে কোলে করে আমি বাড়ি এনেছি। ওঁর নেত্রীও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আমার নেত্রীও। তবে ওঁর সঙ্গে এখন দেখা করার কোনও প্ল্যান আমার নেই।’’ একইসঙ্গে যোগ করেন, ‘‘কে কার সঙ্গে দেখা করবে, সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি কৃষ্ণা চক্রবর্তী, আমার নিজের বিবেচনায় কাজ করি।’’