আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারির প্রতিবাদে রবিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হল। শনিবারের ঘটনায় পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলে আইএসএফের অভিযোগ, প্রশাসনই বিনা প্ররোচনায় তাদের উপর অত্যাচার করেছে। ধর্মতলার ঘটনায় শনিবারই রাজ্যের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি সহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁদের এদিন আদালতে তোলা হয়। আদালতে ঢোকার মুখে নৌশাদের দাবি, মানুষের পাশে ছিলেন, আগামী দিনেও থাকবেন। এদিকে, জামিন হল না বিধায়কের। তাঁকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ বাকি ধৃতদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য বলেই জানিয়েছে আদালত।
শনিবারই ধর্মতলায় আইএসএফের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে উত্তাল হয়। এই ঘটনায় ১৫ জন পুলিশ কর্মী জখম হন। এই ঘটনার জন্য আইএসএফ-কেই দায়ী করেছিলেন কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েল। তাঁর অভিযোগ ছিল, বিনা প্ররোচনায় পুলিশের উপর আক্রমণ করা হয়েছে। কারণ ধর্মতলায় বেআইনি ভাবে সভা করছিল আইএসএফ। সেই সভা সরানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির প্ররোচনায় পুলিশের উপর আক্রমণ করা হয়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় ও কলকাতার ধর্মতলা মিলিয়ে ৭০-এর বেশি আইএসএফ সমর্থককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর সময় আইএসএফ কর্মীদের অভিযোগ, তাদের দলের অধিকাংশের বিরুদ্ধেই ভুয়ো মামলা দেওয়া হয়েছে।