কী ভাবে মৃত্যু হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর। সূত্রের দাবি, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট উপর থেকে পড়েই মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই রিপোর্টেই দাবি করা হয়েছে, ওই পড়ুয়ার মাথার বাঁ-দিকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওই একইদিকে পাঁজর এবং পেলভিস ভেঙে গিয়েছে বলেও ময়নাদতন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, কোনও উচু জায়গা থেকে পড়ে গেলে যে ধরণের ক্ষতের চিহ্ন থাকে সেই ধরণের ক্ষতই স্বপ্নদীপের ময়নাতদন্তে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ তুলেছেন পড়ুয়া স্বপ্নদীপের মামা অরূপ কুন্ডু। তিনি বলেন, "হ্যাঁ, ব়্যাগিং হয়েছে। না হলে ওর মতো, ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না। ক্লাস অ্যাটেন্ড করেছে। কালকেও ক্লাস করে বাবার সঙ্গে কথা বলেছে। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েও কোনও সমস্যা নেই।"
আরও পড়ুন : যাদবপুরের পড়ুয়ার মৃত্যু, ঘটনার পুনর্নিমাণে হস্টেলে পুলিশ
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান জয়দীপ ঘোষ জানান, "আমরা ক্লাসে তেমন নোটিস করতে পারিনি। আমাদের দুর্ভাগ্য, যে আমরা দেখতে পাইনি। বন্ধুরা বলেছে, ও হতাশ ছিল। প্রথম দুদিন যতটা সতস্ফূর্ত ছিল, তৃতীয় দিন তেমন ছিলেন না।"
এদিকে ছাত্রমৃত্যু ঘিরে উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। অরবিন্দ ভবনে একাধিক দাবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টস ফ্যাকাল্টি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (AFSU)। বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে ক্লাস বয়কট করেছেন একাংশের পড়ুয়ারা। ক্যাম্পাস থেকে হস্টেলে ফিরে এমন কী ঘটল যে স্বপ্নদীপ মাকে ফোন করে ভয় পাওয়ার কথা বলেছিলেন , সেই প্রশ্নও মাথাচাড়া দিচ্ছে।