তিনতলা থেকে একতলায় পড়ে গিয়ে যন্ত্রণায় ছটপট করছিলেন প্রথম বর্ষের ছাত্র। তখনও কি হস্টেলে জরুরি বৈঠক চলছিল। আহত ছাত্রকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করার আগেই কি শুরু হয়েছিল এই বৈঠক? যাদবপুর হস্টেলের প্রথম বর্ষের ছাত্রের রহস্যময় মৃত্যুতে এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।
অভিযোগ, ওই ছাত্র যে জায়গায় পড়ে গিয়েছিলেন, সেই জায়গা ধুয়ে দেওয়া হয়েছিল। তদন্তকারীদের একাংশ যদিও জানিয়েছেন, সেই রাতে বৃষ্টি হয়। তাই এই অভিযোগ কতটা সত্যি, তা প্রমাণসাপেক্ষ। ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরী, প্রিজন ভ্যান থেকে দাবি করেছেন, সেই রাতে ব়্যাগিং হয়নি। নিজেই ঝাঁপ দিয়েছেন ওই ছাত্র।
এদিকে ধৃত জয়দীপ ঘোষের কাছে সেদিন রাতেই ফোন গিয়েছিল। বিক্রমগড়ের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন যাদবপুরের প্রাক্তনী জয়দীপ। অভিযোগ, তাঁর নির্দেশেই হস্টেলের গেট বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশের একাংশ মনে করছে, সঠিক সময় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে বাঁচানো যেত ওই ছাত্রকে। তদন্তকারীদের অনুমান, ওই ঘটনার পর হস্টেলে জরুরি বৈঠক শুরু হয়। ধতদের পরষ্পরবিরোধী বয়ানে দুর্ঘটনার সঠিক সময় জানা যায়নি। সেটা পেলে, এই তদন্তের জট ছাড়ানো অনেকটা সহজ হবে তদন্তকারীদের। শনিবারই গ্রেফতার করা হয় জয়দীপকে। রবিবার আলিপুর আদালত তাকে ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে। ওই রাতে জয়দীপের সঙ্গে কারা ছিলেন, তা তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।