নবমী নিশি যেও না। এবার একদিন আগেই প্রায় শেষ নবমী, রাত পোহালেই দশমী। তাই হিসেব মতো শুক্রই পুজোর শেষ দিন। সন্ধে নামতেই উত্তর থেকে দক্ষিণের বিভিন্ন পুজোতে ভিড় দর্শনার্থীদের। মন্ডপে মন্ডপে ঢাকের করুণ আওয়াজ। এরই মধ্যে ধর্মতলায় দ্রোহে সামিল হাজার হাজার সাধারণ মানুষও। আরজি কর কাণ্ডে মহানবমীতে মহাসমাবেশের ডাক দেন জুনিয়র ডাক্তাররা। অনশন মঞ্চ সংলগ্ন ধর্মতলায় সেই মহাসমাবেশ যোগ দেয় নাগরিক সমাজ। ভিড়ের চাপে অবরুদ্ধ হয়ে যায় ধর্মতলার একাংশ। ডোরিনা ক্রসিং থেকে কেসি দাস পর্যন্ত গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তায় বসে সমবেত স্বরে গাওয়া হয় 'আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে'।
আরজি কর কাণ্ডের আবহে প্রথম থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছিল, 'উৎসবে ফিরছি না'। কিন্তু পুজো শুরুর আগে থেকেই রাস্তায় ভিড় জমায় মানুষ। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো পালনের মাঝেই হারিয়ে যায়নি আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ। মহানবমীর দিন সকাল থেকেই মন্ডপে মন্ডপে চেনা ভিড়। অঞ্জলী, সন্ধিপুজো সব নিয়ম মেনেই হয়। বিকেল হতেই উত্তর কলকাতার বিভিন্ন মন্ডপে ভিড় বাড়তে থাকে। দক্ষিণ কলকাতাতেও একই দৃশ্য। উৎসবের রঙে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইলও ভরে ওঠে।
মহানবমীর সেই বিকেলেই ধর্মতলায় ১০ দফা দাবি নিয়ে মহাসমাবেশ করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ডাক্তারদের সেই সমাবেশে হাতে হাতে জ্বলে উঠল মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট। শোনা গেল, 'জাস্টিস ফর আরজি কর' স্লোগান। 'উই ডিমান্ড জাস্টিস' স্লোগান। অনশন মঞ্চ থেকে বেশ কিছুটা দূরে থেকে মহাসমাবেশে যোগ দিলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, সূর্যকান্ত মিশ্র, রামচন্দ্র ডোম। শুক্রবারই বামেদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাঁরা আনুষ্ঠানিকভাবে এই সমাবেশকে সমর্থন করছেন। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক পতাকা ছাড়া নাগরিক সমাজের অংশ হিসেবে যোগ দেবেন। দলীয় নির্দেশ অনুযায়ী মহাসমাবেশে যোগ দেন শীর্ষ নেতারা।