আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে ১০ দফা দাবি। শনিবার রাত থেকে ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে চলছে আমরণ অনশন। অনশনের ২ দিনের মধ্যে ডাক্তার-পুলিশ বচসায় সোমবার রাতে উত্তপ্ত বউবাজার এলাকা। অনশনমঞ্চের জন্য আসা চৌকি বাজেয়াপ্ত করার অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা জুনিয়র ডাক্তারদের।
রবিবার রাতেই অনশনে যোগ দিয়েছেন আরজি কর মেডিকেলের অনিকেত মাহাতো। জুনিয়রদের পাশে সামিল হয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসকরাও। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ১২ ঘণ্টা প্রতীকী অনশন করবেন রাজ্যের সিনিয়র ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা। রবিবার বায়ো টয়লেট নিয়ে একপ্রস্ত বচসা হয়। ডেকরেটরের গাড়িও ফিরিয়ে দেওয়া হয় অভিযোগ ওঠে। এরই মধ্যে অনশন মঞ্চ থেকে চৌকি বাজেয়াপ্ত করার অভিযোগ নিয়ে নতুন করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি।
আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের অভিযোগ, এর থেকে বাজে জিনিস আর হতে পারে না। সরকারের ন্যক্কারজনক কাজ। একটা ন্যূনতম চাহিদা নিয়ে আমরণ অনশনে বসা হয়েছে। তাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কোনও দেশের বা কোনও রাজ্যের সরকার এই জিনিস করেনি বলে অভিযোগ জুনিয়র চিকিৎসকদের।
জুনিয়র ডাক্তারদের সহমর্মিতা জানাতে বহু সিনিয়র চিকিৎসকই সোমবার অনশন মঞ্চে আসেন। জুনিয়রদের সঙ্গে রিলে অনশনে অংশ নেবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স। অনশনের লাইভ স্ট্রিমিংও হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।