খোলা মনে আলোচনায় বসতে রাজি তাঁরা। তবে বৈঠকে 'অভিভাবক' হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাইছেন। বুধবার রাতে সাংবাদিক বৈঠকে এমনই জানান জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের কথায়, বৈঠক স্বাস্থ্যভবনে হোক বা নবান্নে হোক। তাঁদের আপত্তি নেই। কিন্তু চান, অভিভাবক হিসেবে থাকুন মুখ্যমন্ত্রী। লালবাজারের সামনে ২২ ঘণ্টা ধর্নায় বসেছিলেন। বুধবারও রাতেই ৩০ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও অবস্থান বিক্ষোভ চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের। ধর্না অবস্থানে যোগ দেন অন্য পেশার সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষ।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্যভবন অভিযান নিয়ে উদ্দীপনা বাড়তে শুরু করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভিড়ও পাল্লা দিয়ে বাড়ে। বিভিন্ন অফিস থেকে খাবার আসে। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অনেক সাধারণ মানুষও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন 'উৎসবে ফিরুন'। তাই ঢাক এনে স্লোগানের ঝড় তোলেন আন্দোলনকারীরা। উলুধ্বনিও দেওয়া হয়। বুধবার রাতে ডাক্তারদের মিছিলে যোগ দেন রূপান্তরকামীরা। রাতদখল-অধিকার দখল সংগঠনের হয়ে তাঁরা মিছিল করে স্বাস্থ্যভবনের সামনে আসে।
বুধবার সন্ধ্যাবেলা প্রথমে নবান্নে রাজ্যের মুখ্যসচিব, ডিজি ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করেন। তার জবাব দেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। জানিয়ে দেন, তাঁদের শর্ত মানতে হবে। এরপর সাংবাদিক বৈঠক করে অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্বাস্থ্যভবনের সামনে ধর্না চালানোর কথা ঘোষণা করেন তাঁরা।
বুধবার একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জানান, "ওরা কেন এত জেদ করছে? ওরা যা বলবে, সব মানতে হবে! আমি তো ওদের জন্য সব সময়, সময় দিতে রাজি। সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার তো সবাইকে মানতে হবে।" এরই প্রেক্ষিতে জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, "জেদ বলে মনে করা হলে, কিছু বলার নেই। জেদ বললে বিষয়টি ছোট করা হয়। এই নারকীয় ঘটনার উদ্দেশ্য অজানা। যতক্ষণ না পর্যন্ত এটি জানতে না পারছি, ততক্ষণ কর্মবিরতি চালিয়ে যাব। এটা অধিকারের দাবি, সব শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের দাবি। আমাদের পক্ষ থেকে ইমেইল পাঠানো হয়েছে। তার জবাবের অপেক্ষা করছি।"