হাইকম্যান্ড তাঁকে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদে আপাতত কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। দিল্লি থেকে এই বার্তা পাওয়ার পরেই আরজি কর আন্দোলনে পাশে থাকার ইচ্ছা নিয়ে হাসপাতালের সামনে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শনিবার অধীর চৌধুরীকে হাসপাতালের সামনে থেকে ফিরতে হল শূন্য হাতেই। কারণ, জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ থেকে জানান হল, হাসপাতাল রাজনীতির আখড়া নয়। এই একই বার্তা পুলিশের থেকেও শুনতে হল অধীর চৌধুরী। কংগ্রেস নেতার দাবি, তিনি রাজনীতি করতে নয়, হাসপাতালে এসেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে থাকার জন্য। অধীরের এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
শনিবার এর আগে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন অধীর চৌধুরী। ধর্ষণ-বিরোধী কড়া আইন রাজ্য বিধানসভায় আনতে চলেছে রাজ্য। আগামী মঙ্গলবার তা পেশ হতে পারে বিধানসভায়। তার আগে অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, এই ইস্যুতেও এবার নাটক করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কারণ, তিনি ভালভাবেই জানেন এই ইস্যুতে রাজ্যের কিছু করার নেই। এই আইন আগে থেকেই রয়েছে বলে এদিন দাবি করেন অধীর।
এর পরেই তিনি এসেছিলেন আরজি হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালের সদর দরজা থেকেই তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ফিরে যাওয়ার আগে আরজি করের ঘটনা নিয়ে পুলিশকে দায়ী করেছেন অধীর। তাঁর অভিযোগ, এই নিরাপত্তা আগে দেখালে একজন মহিলার মৃত্যু হত না। তাঁকে নির্যাতিতা হতে হত না।