দশ বছরেই নিভতে চলেছে ত্রিফলা বাতিস্তম্ভের আলো(Trident Lamp)। শুরু থেকেই এই বাতিস্তম্ভ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ছিল বিরোধীদের(CPIM-BJP)। এমনকি, শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিদ্যুৎ চুরি-বাতিস্তম্ভের ঢাকনা চুরির অভিযোগও উঠেছিল। অবশেষে সেই বিতর্ককে সঙ্গী করেই যাত্রা শেষ হতে চলেছে ত্রিফলা বাতিস্তম্ভের(Trident Lamp)। কলকাতা কর্পোরেশন(KMC) সূত্রে খবর, দ্রুত অকেজো ত্রিফলা বাতিস্তম্ভগুলির বদলে বসানো হবে এক স্তম্ভের আধুনিক আলো।
মঙ্গলবার এই বিষয়ে বৈঠক করেন মেয়র পারিষদ (আলো) সন্দীপরঞ্জন বক্সী(Sandip Bakshi)। বর্ষাকালে চারমাস বন্ধ থাকার পর ফের ওই বাতিস্তম্ভগুলি চালু করা হয়েছে বলে জানান তিনি। মেয়র পারিষদের কথায়, ওই ত্রিফলা বাতিস্তম্ভগুলি(Trident Lamp) খারাপ হলে আর নতুন করে তা সারানো হবে না। বদলে বসানো হবে এক স্তম্ভের আধুনিক আলো।
আরও পড়ুন- Nadia Trident News : সমকামী বন্ধুদের যৌন চাহিদায় বাধা দেওয়ায় কি ক্রিশূলবিদ্ধ নদিয়ার যুবক ?
বাংলায় রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর শহরকে সাজাতে ২০১২ সালে প্রায় ১২ হাজার ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় তৎকালীন কলকাতা কর্পোরেশন(KMC)। এর জন্য আনুমানিক খরচ পড়েছিল প্রায় ২৭ কোটি টাকা। কিন্তু এরপরেই শুরু হয় বিতর্ক। দরপত্র ছাড়াই অনেক বেশি দামে ওই ত্রিফলা বাতিস্তম্ভগুলি(Trident Lamp) কেনার অভিযোগ করেন বিরোধীরা(CPIM-BJP)। কর্পোরেশনের নিজস্ব অডিটে(KMC Audititory Report) অনিয়ম ধরা পড়তেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। পরবর্তীতে কর্পোরেশনের তৎকালীন ডিজি (আলো)-কে সরিয়ে দিয়ে শুরু হয় বিভাগীয় তদন্ত।
কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের(CAG) রিপোর্ট প্রকাশ হতেই হাতে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, ওই বাতিস্তম্ভগুলি(Trident Lamp) বসানোর নামে খরচ হয়েছে বাড়তি প্রায় আট কোটি টাকা। যদিও সেই বিতর্কের পরে কলকাতায়(Kolkata) আর নতুন করে ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ লাগানো হয়নি বলেই খবর।