৩০ দিনের বেশি ঘরছাড়া থাকলে ক্ষতিপূরণ ৫ লক্ষ টাকা। ভাড়াটেরা পাবেন দেড় লক্ষ টাকা। বউবাজারের গৃহহীন বাসিন্দাদের (Bowbazar People) ক্ষতিপূরণের অঙ্ক ঘোষণা করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ফের বউবাজারের যান ফিরহাদ। সেখানে গিয়েই তিনি জানান, এরপর KMRCL যদি কোনও কাজ করে, তা পৌরসভা ও কলকাতা পুলিশকে জানাতে হবে। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে গৃহহীনদের হাতে এই ক্ষতপূরণের টাকা তুলে দেওয়া হবে বলেও জানান মেয়র।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঘটনাস্থলে আসেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশ কমিশনার, মেয়র ও মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। পরিদর্শনের মেয়র জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে একাধিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এদিন মেয়র জানান, "মুখ্যমন্ত্রী খুব উদ্বিগ্ন। বারবার খবর নিয়েছেন। বউবাজারের বাসিন্দাদের লাগাতার যে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে, তার সুরাহার নির্দেশ দিয়েছেন।"
এদিন ফিরহাদ হাকিম জানান, "মেট্রোর মাটি আলগা হয়ে যাচ্ছে। তাই ফাটল দেখা দিয়েছে। ক্যাম্প অফিস করা হয়েছে। সেখানে থাকবেন স্থানীয় কাউন্সিলর, স্থানীয় থানার ওসি, কলকাতা পুরসভার নির্মাণ বিভাগের কর্তা ও মেট্রো রেল কর্পোরেশনের কর্মীরা।"
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তল্লাশি, তাপসের পর বিভাসের ফ্ল্যাট সিল ইডির
বউবাজারে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর (East West Metro) কাজে এখনও পর্যন্ত মোট ১২টি বিল্ডিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে ২৮টি পরিবারের ১৮০ জন সদস্য থাকেন। তাদের অধিকাংশকেই হোটেলে অস্থায়ীভাবে রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি ঠিক হলে তাঁদের ঘরে ফেরানো হবে। না হলে বিকল্প বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। জানা গিয়েছে, শনিবার বউবাজারের বাড়িতে ফাটল নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে ছিলেন KMRCL-এর প্রতিনিধিরাও। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরই রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তা ও মেট্রো কর্তৃপক্ষকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।