ঘূর্ণিঝড় অশনির (Cyclone Asani) প্রভাবে মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজ্যের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির (Heavy Rainfall) পূর্বাভাস। ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় সোমবারই জোরদার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। পুরসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, মঙ্গলবার ঝড়বৃষ্টির সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনা এড়াতে ত্রিফলা বাতিস্তম্ভে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। শহরবাসীর জলের জোগান চালু রাখার জন্য ৮০টি গাড়ি মজুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি টালা ট্যাঙ্কের সুরক্ষার জন্য ৮০ শতাংশ জল ভরে রাখা হবে বলে সিদ্ধান্ত কলকাতা পুরসভার।
কলকাতা পুরসভার ১৩ জন মেয়র পারিষদকে বরোভিত্তিক দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পাশাপাশি বরোগুলিতে ত্রিপল, ত্রাণসামগ্রী ও জল মজুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনেক সময় বৃষ্টিতে বা জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। সে সব রোধে ত্রিফলা ও বাতিস্তম্ভগুলি পরিদর্শন করে দেখছে পুরসভার সংশ্লিষ্ট দফতর। বৃষ্টি শুরু হলে ত্রিফলা বাতিস্তম্ভে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও পুরবৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খোলা তারের জন্য CESC-কেও ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হলেও যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তাই জলপ্রকল্প ও বুস্টার পাম্পিং স্টেশনগুলিতে জেনারেটর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে বাসিন্দাদের জল সরবরাহে কোনও সমস্যা না হয়। ভারী বৃষ্টিতে জল জমলে নিষ্কাশনের জন্য ৭৭টি পাম্পিং স্টেশনের ৯৫ শতাংশ সক্রিয় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। অনেক সময় পাম্পিং স্টেশন সক্রিয় রেখেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৬৫০টি পোর্টেবেল পাম্প বসানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: শক্তি কমাচ্ছে অশনি, বাংলার কোন কোন জেলায় পড়বে প্রভাব?
মঙ্গলবার কলকাতা সহ একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। দুর্যোগের আশঙ্কায় পুরসভার বরোগুলিতে কর্মীদের নিয়ে দল গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দলকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।