একদিকে কম খরচ অন্যদিকে যানজটের চিন্তা নেই। সেই কারণে শহর কলকাতায় গন্তব্য পৌঁছনোর জন্য মেট্রোই বেস্ট অপশন। কিন্তু এবার থেকে আর কম খরচে পরিষেবা পাবেন না মেট্রো যাত্রীরা। নাইট স্পেশাল মেট্রোয় খরচ বাড়তে চলেছে।
মেট্রোয় চড়তে হলে এবার খসাতে হবে বেশি টাকা। কলকাতা মেট্রোর তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে। ১০টাকা করে অতিরিক্ত টিকিটের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে সব যাত্রীদের উপর অতিরিক্ত দামের প্রভাব পড়বে না। শুধুমাত্র নাইট স্পেশাল সার্ভিসে যাঁরা চড়বেন অর্থাৎ ব্লু লাইনের ১০টা ৪০-এর মেট্রোতে চড়তে হলে এই অতিরিক্ত খরচ গুনতে হবে।
গত জুন মাস থেকে ব্লু লাইনে শেষ মেট্রোর সময় বদলেছে। মেট্রো যাত্রীদের জন্য ১০টা ৪০ মিনিটে একটি বিশেষ মেট্রো চালানো হয়। কবি সুভাষ এবং দমদম স্টেশনের মধ্যে চলাচল করে দুটি বিশেষ মেট্রো রেক। এবার ওই বিশেষ নাইট সার্ভিস মেট্রোতেই টিকিটের ভাড়ার সঙ্গে যুক্ত হবে ১০টাকার সারচার্জ।
মেট্রোর স্টেটমেন্ট কী?
এই প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি দেয় কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, "রাত ১০টা ৪০ মিনিটে কবি সুভাষ থেকে এবং দমদম থেকে দুটি মেট্রো ছাড়ে। কিন্তু দুটি মেট্রোতেই যাত্রী সংখ্যা থাকে খুবই কম। সেইকারণে দূরত্ব-নির্বিশেষে প্রতিটি টিকিটের সঙ্গে অতিরিক্ত ১০ টাকা করে সারচার্জ যোগ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর থেকে নয়া এই সারচার্জ লাগু হবে।
চলতি বছরের ২৪মে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে রাতে মেট্রো চালানো হয়। ব্লু লাইনে রাত ১১টায় একটি বিশেষ মেট্রো চালানো হয়েছিল। কিন্তু যাত্রীদের কাছ থেকে সাড়া না পাওয়ায় রাতের বিশেষ মেট্রোর সময় এগিয়ে নিয়ে আসা হয়। এবং ১০টা ৪০-এ যাত্রা শুরু করে শেষ মেট্রো। এর ফলে যে অফিস ফেরত অনেক যাত্রীরই সুবিধা হয়েছিল।
রেলের দাবি, শেষ মেট্রোতে যে পরিমাণ যাত্রী হওয়ার আশা ছিল সেই পরিমাণ যাত্রী হচ্ছে না। ফলে রেলের আয়ের থেকে ব্যায় বেশি হচ্ছিল। সেই কারণে খরচ সামাল দিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাতের এই পরিষেবায় কোনও স্টেশনে কোনও টিকিট কাউন্টার খোলা থাকে না। AVTM মেশিনের মাধ্যমে UPI পেমেন্টের মাধ্যমে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন যাত্রীরা। অথবা স্মার্ট কার্ডের সাহায্যেও লাস্ট মেট্রোতে চড়তে পারবেন যাত্রীরা।
এছাড়াও যাত্রীদের সুবিধার জন্য প্রতিটি স্টেশনে একটি করে টিকিট কাউন্টারও খোলা রাখা হবে। সেখান থেকে কার্ড রিচার্জ, পেপার টিকিট এবং টোকেন কিনতে পারবেন যাত্রীরা। উল্লেখ্য যাত্রীদের মধ্যে মেট্রোর সময়সীমা বাড়ানো নিয়ে বেশ কয়েকটি আবেদন জমা পড়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে মেট্রোর সময় বৃদ্ধি নিয়েও শুনানি হয়। এবং আদালতের নির্দেশের পরই পরীক্ষামূলকভাবে রাতের পরিষেবা শুরু হয়।