আর জি করের ঘটনায় গত কয়েকদিন ধরে একাধিক ছবি, ভিডিও, অডিও ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় । যা নিয়ে প্রতিদিন একটা করে নতুন বিতর্ক দানা বাঁধছে । কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বারবার । সম্প্রতি, সেরকমই সেমিনার হলের একটি ভিডিও ভাইরাল হয় । যেখানে মৃতদেহ উদ্ধারের পর কর্ডন করা বা ঘিরে ফেলা জায়গায় একাধিক ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছিল । প্রশ্ন উঠছিল, ঘিরে ফেলা অংশে এত লোক কেন ? এবার সেই প্রশ্নেরই ব্যাখ্যা দিলেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় । তিনি দাবি করেছেন, কর্ডন করা এলাকায় শুধুমাত্র তদন্তের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাই ছিলেন । তাঁদের মধ্যে কেউ পুলিশ, কেউ চিকিৎসক, কেউ আবার ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ । সেখানে বাইরের কোনও লোক ছিল না বলেই দাবি তাঁর ।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় । বৈঠকেই তিনি সেমিনার হলের কর্ডন করা এলাকার দু'টি ছবি দেখান । সেদিন ওই ঘিরে ফেলা জায়গায় কারা ছিলেন, তাঁদের পরিচয় স্পষ্ট করেন তিনি । ছবিতে উপস্থিত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় জানান, ওই কর্ডনে পুলিশ কমিশনার, গোয়েন্দা বিভাগের ভিডিয়োগ্রাফার, অ্যাডিশনাল পুলিশ কমিশনার, ফরেন্সিক বিভাগের সদস্য, টালা থানার পুলিশকর্মী, ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞেরা ছিলেন । তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুল বলে দাবি করেছেন তিনি ।
ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের আরও জানিয়েছেন, ৯ অগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যেই পুলিশ ঘিরে ফেলেছিল জায়গাঘাটা । কোনও ভাবেই সেখানে বাইরের লোক ঢুকতে পারেননি । তাঁর দাবি, "কর্ডনের ভিতরে এমন কেউ ছিলেন না, যাঁর ওখানে উপস্থিত থাকা উচিৎ ছিল না । প্রত্যেকেই তদন্তের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন । ওই জায়গাটা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত ছিল । "
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে সেমিনার হলের ভিতরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয় । দেহ উদ্ধারের পর কীভাবে এত লোক সেমিনার হলে ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল । তার ব্যাখ্যা আগেই দিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় । তিনি জানিয়েছিলেন, দেহ উদ্ধারের পর পুলিশ জায়গাটা ঘিরে রেখেছিল । ভাইরাল ভিডিওটি সেমিনার হলের অন্য কোনও অংশের ভিডিও । এরপর আরও একটি ভিডিও ভাইরাল হতেই নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয় । ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের ঘিরে রাখা এলাকাতেই রয়েছে একাধিক লোক । সেখানে এত লোক কেন, তাঁদের পরিচয় কী...সবটা ব্যাখ্যা দিলেন কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় ।