ফাইটার ঐন্দ্রিলাকে কুর্নিশ হাওড়ার বেসরকারি হাসপাতালের। রবিবার বেলা ১২টা ৫৯ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিনেত্রী। গত ২০ দিন এই হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। এক বিবৃতিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই সময় কার্যত যমে-মানুষের লড়াই চলেছে তাদের চোখের সামনে। তাতেও লড়াইয়ের ময়দান ছাড়েননি ২৪ বছরের লড়াকু অভিনেত্রী।
গত ১ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাওড়ার এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। দু বার ক্যানসার জয়ী অভিনেত্রীকে সঙ্গে সঙ্গেই ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছিল। এদিনের বিবৃতিতে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, অভিনেত্রী মস্তিকে গভীর ভাবে রক্ত জমাট বেঁধে ছিল। কার্যত সঙ্গে সঙ্গে তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। সফল হয়েছিল সেই অস্ত্রোপচার। কিন্তু অভিনেত্রীর বায়োপি রিপোর্ট ছিল বেশ উদ্বেগজনক।
গত কয়েকদিন ঐন্দ্রিলাকে দফায় দফায় চিকিৎসা করেন নিউরো সার্জেন, নিউরোলজিস্ট এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ারের চিকিৎসদের তৈরি মেডিক্য়াল টিম। হাসপাতালের দাবি, অস্ত্রোপচারের পর ঐন্দ্রিলার শরীরে সুস্থতার লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু ১০ দিন পর নতুন করে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর বিধ্বস্ত হয়ে যান ঐন্দ্রিলা। হাসপাতালের দাবি, ঐন্দ্রিলার মস্তিকও ধীরে ধীরে বিকল হতে শুরু করেছিল। দিন যত গড়িয়েছে, ততই ভেন্টিলেশনের মাত্রা কমতে শুরু করেছিল।
হাসপাতালের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই রবিবার বেলা ১২টা ৫৯ মিনিটে প্রয়াত হন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। এই পুরো সময় অভিনেত্রীর পরিবার তাদের পাশে ছিল বলেই জানিয়েছে হাওড়ার বেসরকারি হাসপাতাল। উল্লেখ্য ঐন্দ্রিলার বাবা নিজে চিকিৎসক। এবং মা নার্সিং স্টার্ফ।