এ পুজোয় যেমন উৎসব রয়েছে। তেমনই রয়েছে প্রতিবাদ। ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় যা ঠেকে শিখেছে পুলিশ। দক্ষিণ কলকাতার দুটি মণ্ডপে উঠছে বিচার চেয়ে স্লোগান। তার মধ্যে একটি থেকে নয় জনকে গ্রেফতার করে সপ্তমীর সকালে আলিপুর আদালতে তোলা হচ্ছে। তাই মনে সপ্তমী, আর তিথিতে অষ্টমী মিশিয়ে এদিন সন্ধ্যায় বহর বাড়িয়ে রাস্তায় নামছে পুলিশ। যে ফাঁক ষষ্ঠীর সন্ধ্যায় ধরা পড়েছে, তা এদিন ভরাট করতে মরিয়া লালবাজার।
লালবাজারের একটি সূত্রে বলা হয়েছে, প্রতি বছর চতুর্থী থেকে রাস্তায় নেমে পড়ে কলকাতা। এবার তার ব্যতিক্রম হয়নি। ব্যতিক্রম হয়েছে আরজি করের বিচার চেয়ে প্রতিবাদীদের আন্দোলন। যা নিয়ন্ত্রণ করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। ষষ্ঠীর দুপুর থেকে রাত, এই ঘটনায় কলকাতায় পুজোর ভিড় সামলানোর পাশাপাশি নাগড়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়েছে তাদের।
তাই সপ্তমী থেকে দশমী, আর কোনও ঝুঁকি নয়। এদিন থেকেই প্রতিটি মণ্ডপের সামনে রাখা হচ্ছে অতিরিক্ত বাহিনী। রাজপথের যে অঞ্চলে ভিড় বাড়তে পারে, সেই জায়গাগুলিতে বাড়ানো হচ্ছে পুলিশ প্রিকেট। এছাড়াও বেশি করে রাখা হবে ড্রোন। রাস্তার পাশাপাশি জলপথেও নজরদারি এদিন সন্ধ্যা থেকেই বাড়ানো হবে।
পুজোর ভিড়ের নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি পুলিশের বিশেষ নজরে রয়েছে ধর্মতলায় অনশনরত ডাক্তারদের মঞ্চের উপর। এর জেরে ওই চত্বরে যাতে যানজট তৈরি না হয়, সেই ব্যাপারেও খেয়াল রাখার কথা জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। এসবের মধ্যেই চ্যালেঞ্জ টালা প্রত্যয় থেকে লেবুতলার ভিড়। সপ্তমীর রাতে পুলিশকে চ্যালেঞ্জ দিতে পারে সুরুচি ও চেতলা অগ্রনীও।