গ্ল্যামার দুনিয়ার ভেতর কী শুধুই হতাশার অন্ধকার? নাকি পল্লবী দে'র (Pallavi Dey) মতো বিদিশাও ভুগছিলেন সম্পর্কের টানাপোড়েনে? গড়ফায় টেলি-অভিনেত্রী পল্লবী দে'র মৃত্যুর ১৫ দিনও কাটল না, তারই মধ্যে উদ্ধার তাঁরই সতীর্থ বিদিশা দে মজুমদারের (Bidisha De Majumder Death Mystery) নিথর দেহ।
চারবছর ফ্যাশন শ্যুটের দুনিয়ায়। আয়ও ভালই ছিল বিদিশার। ফ্যাশন শ্যুটের পাশাপাশি নানা অনুষ্ঠানে অংশ নিতেন তিনি। ফলে, অর্থাভাব তাঁর ছিল না। শেষের দিকে কাজের চাপে পড়াশোনাতেও মন দিতে পারতেন না! এমনটাই জানা গিয়েছেন সদ্য মৃত মডেলের ঘনিষ্ঠদের সূত্রে। সাফল্য যাঁর প্রায় মুঠোয়, হঠাৎ তিনি কেন জীবন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন? তাঁর ঘনিষ্ঠদের একাংশ বলছেন, পল্লবী দে'র মতো তাঁরও নাকি সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছিল। সম্প্রতি কাছের এক জনকে বলেছিলেন, ‘‘পল্লবীর মতো ফুরিয়ে যেতে ইদানীং আমারও খুব ইচ্ছে করে!’’
বিদিশা-ঘনিষ্ঠদের দাবি, বেশ কিছু দিন ধরেই তিনি ক্রমশ ঝিমিয়ে পড়ছিলেন। কাজে ততটা মন ছিল না। অকারণে উদাসী। তাঁর পোস্ট করা ইনস্টাগ্রামের রিল ভিডিয়োর নেপথ্য-গান তার জলজ্যান্ত প্রমাণ। সেখানে শুধুই বিরহ।
সম্প্রতি বিদিশার জীবনে আসেন পেশায় শরীরচর্চার এক প্রশিক্ষক। ফর্সা, পেশিবহুল চেহারা। মুখে সযত্নে ছাঁটা হাল্কা দাড়ি-গোঁফ। তাঁকে নাকি চোখে হারাতেন বিদিশা। সুযোগ পেলেই ফোন। চলত দেখাসাক্ষাৎও।
ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, কাজের চাপে বিদিশা ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করতেন না। এতে তাঁর রক্তচাপ কমে যায়। প্রায়ই মাথা ঘুরত। তবে ওই প্রশিক্ষকের কড়াকড়িতে তিনি আবার খাওয়াদাওয়া নিয়মিত করা শুরু করেন। ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর কাছে বিদিশা মনের কথা জানিয়েছিলেন। তিনি প্রেমিককে ছেড়ে থাকতে পারছেন না। অথচ প্রেমিক ইদানীং সেটাই দিব্যি পারছেন! ইনস্টাগ্রামে নিজের ছবি দিয়ে বিদিশা লিখেছেন, ‘কী অদ্ভুত পরিস্থিতি! ও আমার হবে না, কোনও দিন। আমি ওকে ছাড়া থাকতে পারব না, কোনও দিন!’
জানা গিয়েছে, এক তরফা ভালবাসা ছিল তাঁর। প্রায়ই দামি উপহার দিতেন প্রেমিককে। বিদিশার উপার্জন ভাল থাকায় প্রেমিকের পাশাপাশি নিজের পরিবারকেও দেখতেন। বাবা বেসরকারি কর্মী। মা সংসার সামলান। বাড়িতে বিদিশা ছাড়া ১২-১৩ বছরের এক বোন রয়েছে। সবার সব দায়িত্ব তিনি হাসিমুখে পালন করতেন।