বুধবার ইডির তদন্তে পার্থ-অর্পিতার বিপুল সম্পত্তির হদিশ মেলে। অর্পিতার বেলঘড়িয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ২৭.৯ কোটি টাকা। পাশাপাশি মেলে ৪ কোটি ৩১ লক্ষ টাকার সোনাও। ইডি সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া সোনার মধ্যে বেশির ভাগই সোনার বাট। ১ কেজি করে তিনটি সোনার বাট উদ্ধার করা হয়েছে। একইসঙ্গে উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি সোনার আংটি। এছাড়াও অর্পিতার বাড়ি থেকে সোনার মোটা হার, রকমারি সোনার গয়নাও উদ্ধার করা হয়েছে। ইডি আধিকারিকদের বাজেয়াপ্ত করা সোনার মধ্যে রয়েছে দু’টি সোনার ঘড়িও। এই তালিকায় রয়েছে, ছ’টি মোটা মোটা সোনার কাঁকন (বালা) এবং কানের ঝোলা দুল। উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি ছোট কানের দুল, কাঁকন এবং একটি সোনার পেন।
বুধবার বেলা ১২টার কিছুক্ষণ আগে অর্পিতার বেলঘরিয়ায় ফ্ল্যাটে পৌঁছন ইডির আধিকারিকরা। এর পর ১৯ ঘণ্টার তল্লাশি অভিযান শেষে টাকা ও গয়না উদ্ধার করেন ইডি আধিকারিকেরা। শুক্রবার অর্পিতার টালিগঞ্জের ফ্ল্যাট থেকেও ২১ কোটি ৯০ লক্ষ নগদ এবং বহুমূল্যের গয়না ও বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করেন ইডি আধিকারিকেরা। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, অর্পিতা জানান, তাঁর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া বিপুল টাকার সবটাই তৃণমূল মহাসচিবের। সূত্রের খবর, জেরায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর কাছে এমনই দাবি করেছেন ধৃত অর্পিতা। বাড়িতে কত টাকা রাখা আছে তিনি জানতেন না। পার্থর কর্মীরা মাঝেমধ্যেই এসে টাকা রেখে দিতেন। শুধু তাই-ই নয়, যেখানে টাকা রাখা হত, সেই ঘরে তাঁর কোনও প্রবেশাধিকার ছিল না বলেই দাবি করেছেন অর্পিতা। অর্পিতার আরও দাবি, তাঁর ফ্ল্যাটে মাঝেমাঝে আসতেন পার্থ। তবে টাকা বা অন্যান্য কী আসছে, কোথা থেকে আসছে, তা নিয়ে কিছুই নাকি জানতেন না বলে দাবি করেছেন এই মডেল-অভিনেত্রী।