তাঁকে ধরে রাখা কঠিন। গত রবিবার বরাহনগরে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের এই মন্তব্য এখন ভাইরাল রাজ্য রাজনীতিতে। গত রবিবারের পর থেকে তাপসের অবসর প্রসঙ্গ এখন চর্চার বিষয় রাজনৈতিক মহলে। এরমধ্যেই বরাহনগরের বিধায়কের অবসর ইঙ্গিতকে কার্যত সমর্থন করলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি জানিয়েছেন, ১৯৭২ সাল আর নেই। তাই ৭২ বছরের লোকেদেরও একদিন চলে যেতে হবে। কামারহাটির বিধায়কের এই মন্তব্যকে কৌশল মন্তব্য বলেই দাবি করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাই অনেকই এই মন্তব্যকে তাপসের পক্ষে সমর্থন বলেই দাবি করেছেন। কারণ, তাপস রায় আগেই দাবি করেছিলেন, শরীর যদি সায় না দেয়, তাহলে কাজ করবেন কী ভাবে ? কারণ, সংগঠনে থাকলে অনেক কঠিন কাজ করতে হয়। সবসময় সময় দিতে হয়। সেটা দেওয়া যাবে কী ভাবে ?
রবিবারের পর সোমবারও রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তাপস রায়। নিজেকে তুলনা করেছিলেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকরের সঙ্গে। তিনি জানিয়েছিলেন, গাভাসকর তাঁর প্রিয় ক্রিকেটার। একটা সময় গাভাসকরের হাতে তিন থেকে চারটি সেঞ্চুরি ছিল, তারপরেও তিনি অবসরের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তেমনই, তিনি রাজনীতি থেকে চলে যেতে চান।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, এর আগেও রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বরাহনগরের এই বিধায়ক। তবে এবার যেন অনেক বেশি একরোখা মনে হচ্ছে তাঁকে। শরীরের কথা বলছেন তাপস। কিন্তু রাজনৈতিক মহল, এর পিছনে আর এক ইঙ্গিত খুঁজে পাচ্ছেন। আর তা হল সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভায় সম্প্রসারণে শেষ বেলায় তাঁর নাম না থাকা। কারণ, এবার জোর জল্পনা ছিল মন্ত্রী হচ্ছেন তাপস রায়। কিন্তু রাজভবনে জমা দেওয়া তালিকায় নাম ছিল না বিধানসভার উপ-মুখ্য়সচেতকের।