আরজি করের ঘটনায় তারও কিছু বলার আছে। বক্তা মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়। মঙ্গলবার আদালতে দাঁড়িয়ে সঞ্জয় জানিয়েছে, সে এই ঘটনা সম্পর্কে বিন্দুবিসর্গ জানে না। তাই তারও অনেক কথা বলার আগে। সোমবার তার বিরুদ্ধে আরজি করের ঘটনায় চার্জশিট দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তার কপিও এদিন সঞ্জয়কে দেওয়া হয়েছে। সিবিআই সূত্রে দাবি, সেই কপিতে সই করছে এই ঘটনায় ধৃত কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন এই সিভিক।
তারপর শিয়ালদহ আদালতে দাঁড়িয়ে সঞ্জয়ের এই বিস্ফোরক দাবিতে খানিকক্ষণের জন্য বিশেষ সিবিআই আদালতের এজলাসে এক অন্য আবহ তৈরি হয়। সঞ্জয়ের দাবি, সে কিছু না বললে, তার উপরেই বিষয়টি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সঞ্জয়ের এই বক্তব্যের পর বিচারকও তাকে কথা বলার অনুমতি দিয়েছেন। তবে, প্রকাশ্যে নয়, সঞ্জয়কে আলদা করে তার আইনজীবীর সঙ্গে এই ব্যাপারে কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
পঞ্চমীর দিনেই আদালতে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে চার্জশিটের কপি জমা দিয়েছে সিবিআই। সেই মামলায় বিচারকর জানিয়েছেন, এই মামলায় সঞ্জয়ের কথা বলা জরুরি। না হলে বিচার প্রক্রিয়া চালিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এই মামলায় সঞ্জয়ের হয়ে আদালতে কোনও আইনজীবী নেই। আইন বলছে, বিচারপর্ব শুরু হলে অভিযুক্তরও আইনজীবী থাকতে হয়। সেই মতো এদিন সঞ্জয়ের কথা শোনার জন্য আইনজীবীকে নির্দেশ দিলেন বিচারক।
আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে এদিন আদালতে ১১টি প্রমাণ জমা দিয়েছে সিবিআই। কার্যত দু মাসের মাথায় এই চার্জশিট দাখিল করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আরজি কর-কাণ্ডে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। চার্জশিটে তারা জানিয়েছে, গোটা ঘটনায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না, সেই দিকগুলি খতিয়ে দেখতেই সন্দীপ এং অভিজিতের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।