ট্রেকিং (Trekking) করতে গিয়ে বুধবার উত্তরকাশীতে (Uttar kashi) প্রাণ হারালেন ৫ বাঙালি অভিযাত্রী (5 bengali trekkers)। বৃহস্পতিবার সকালে টুইটে মুখ্যমন্ত্রী নিহত পাঁচ বাঙালি পর্যটকের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে লেখেন, “পাঁচ পর্যটকের দেহ বুধবার রাতে হৃষিকেশের এইমসে রাখা হয়। নিহতদের পরিজনেরা দেহ নিয়ে আসার জন্য দিল্লি থেকে হৃষিকেশে যাবেন। সেখান থেকে মরদেহ ফেরত নিয়ে আসা হবে বাংলায়।” দেহ ফেরত নিয়ে আসার ক্ষেত্রে সমস্তরকম সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গড়িয়ার নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা মদন মোহন ভুঁইয়া, স্ত্রী ঝুমুর ও ছেলে নীলেশকে সঙ্গে নিয়ে উত্তরকাশীতে ট্রেকিং করতে দিয়েছিলেন তিনি। বাকি ২ জনের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতে। সোমবার বিমানে উত্তর কাশী রওনা হন ওই ৫ জন।
কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল?
উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) তেহরি গাড়োয়ালে থেকে গাড়িতে কেদারতালের দিকে যাচ্ছিলেন ৫জন। আচমকাই গাড়িতে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে শুরু করে। ওই অবস্থায় গাড়িটি খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সকলের। মৃতদেহ রাজ্যে ফেরানোর ব্যাপারে ইতিমধ্যে তৎপর হয়েছে প্রশাসন।
জেলে বসেই হুমকি ফোন, তোলা না দেওয়াতেই বিরিয়ানির দোকানে গুলি, জানাল পুলিশ
সকলেই হরিদ্বার-রাইওয়ালা থেকে গঙ্গোত্রীর দিকে যাচ্ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বোলেরো গাড়িটি পড়ে যাওয়ার সময় নীচে একটি বিকট বিস্ফোরণ শোনা গিয়েছিল, তারপরেই গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাজস্ব পরিদর্শক বিজেন্দ্র রামোলা জানান, গাড়িতে আগুন লেগে সকলেই দগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন। এই দলের সঙ্গে ভ্রমণকারী সহযাত্রী পর্যটকরা, যারা অন্য গাড়িতে ভ্রমণ করছিলেন, তাঁরা কিছুটা এগিয়ে যান। ঘটনাস্থলে পাওয়া একটি ফোনে যোগাযোগ করে সহ পর্যটকদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয়।