সম্পত্তি মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পরিবার সম্পর্কে চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। সেইসঙ্গে যাঁদের বিরুদ্ধে বাড়তি সম্পত্তি নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের ১১ নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২৮ নভেম্বর এই মামলার পরের শুনানি ঠিক হয়েছে।
২০১১ সালে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। গত ২৯ অগাস্ট কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। যেখানে অভিযোগ করা হয়, গত ১১ বছরে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সম্পত্তি ক্রমশই বৃদ্ধি পেয়েছে। আদালতে অভিযোগ করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের একাংশে পেশ করা সরকারি হলফনামা থেকেই এই বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। মূলত এই ব্যাপারে মামলাকারী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যাায়ের কথাই উল্লেখ করেছেন। কারণ, গত পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিল মুখ্য়মন্ত্রী পরিবারের কাজরী। মামলাকারীর অভিযোগ, নিজের হলফনামায় অনেক তথ্যই চেপে গিয়েছিলেন কাউন্সিলর কাজরী বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।
গত ২৯ অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভা মঞ্চ থেকেই তাঁর পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে ওঠা অভিযোগ কার্যত খারিজ করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়েছিলেন, উৎসব ছাড়া অন্য কোনও সময় তাঁদের ভাই-বোনদের দেখা হয় না। এমনকী নিজের সম্পর্কে তিনি জানান, গত ১২ বছর সাংসদ হিসাবে পেনশন পান, যা তিনি নেন না। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবেও তাঁর প্রাপ্য বেতন নেন না। যেখানে থাকেন, সেটাও ভাড়া বাড়ি। তাঁর নিজের বলতে কিছুই নেই।