তাঁর আমলে একজনও সিপিএম ক্যাডারের চাকরি যায়নি। তাহলে রোজ রোজ এত মানুষের চাকরি বাতিল হচ্ছে কেন ? মঙ্গলবার আলিপুর আদালতের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিষয়টি বিচারপতিদের ভেবে দেখতে অনুরোধ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আলিপুরে মমতা হাতিয়ার করেন বাম আমলে চাকরি সংক্রান্ত এক মামলায় বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের এক নির্দেশকে। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, চাকরি বাতিল নয় বরং ওই রায়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ভুল সংশোধনের পক্ষেই সওয়াল করেছিলেন।
এদিন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জানান, নিচুতলায় যাঁরা তৃণমূল করেন, তাঁরা অনেকেই অন্যদল থেকে এসেছেন। কারণ, তৃণমূল একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। তিনি স্বীকার করেন, যাঁরা এই ঘটনায় যুক্ত, তাঁদের রেয়াত করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু অভিযুক্তদের শাস্তি দিতে গিয়ে অনেক নিরীহ মানুষকে ভুগতে হচ্ছে। সোমবারও রাজ্যে দু জনের আত্মহত্যার ঘটনার কথাও এদিন উল্লেখ করেন।
প্রসঙ্গত দুর্নীতি প্রসঙ্গে তৃণমূলের অবস্থান যে বেশ কড়া, তা আগেই স্পষ্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যার জেরেই এদিন নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত অভিযোগ দুই তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। নাম না করলেও এদিন আলিপুরের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, যারা জোড়চুরি করবে, তাদের প্রতি তিনি কোনও দয়া দেখাবেন না।