গ্রাম বাংলার রায়ে শাসক তৃণমূলের আস্থা রাজ্যের বেশির ভাগ মানুষের। তবু পঞ্চায়েত ভোটের গণনার দিন এক তাৎপর্যপূর্ণ দাবি করলেন পর্যটনমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর দাবি, এই ভোটে এমনিতেই জিতত তৃণমূল। তার জন্য এত ঝামেলার প্রয়োজন ছিল না। এই দাবিতে তাঁর সংযোজন, ৭০ হাজার বুথের মধ্যে কমবেশি ১০০ বুথ থেকে অশান্তির অভিযোগ এসেছে। কিন্তু তাতে যদি ৪০ জনের প্রাণ যায়, তা দলের কাছে বিড়ম্বণার।
রাজ্যে পঞ্চায়েতের হিংসা নিয়ে এর আগে হুমায়ুন কবীর, সৌগত রায়, চিরঞ্জিতের মতো সাংসদ বিধায়করা মুখ খুলেছিলেন। এবার এই ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া খোদ রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র। শুধু তাই নয়, এদিন আদালতে হাজিরা দিতে এসে তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, মা-মাটি-মানুষের জয় মৃত্যুহীন হলেই ভাল হত।
দিন ঘোষণা থেকে গণনা। রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তি এড়ানো যায়নি। মঙ্গলবারও পঞ্চায়েতের ভোট গণনায় বিভিন্ন অশান্তিতে কমবেশি ৬১ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। এরমধ্যে গ্রামের ভোটে অশান্তির জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীকেই দুঁষেছেন রাজ্যে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। তাঁর অভিযোগ, ভোটের ১০ হাজার বাহিনী কম দেওয়া হয়েছিল।