প্রেম বন্ধ প্রেসিডেন্সিতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ফতোয়ায় তোলপাড় এখন কলকাতা। বাম নেতা থেকে সাহিত্যিক সবাই এর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। কিন্তু তাঁদের সবাইকে ছাপিয়ে গেলেন একজন। আসলে তিনি মুখ খোলা মানেই ভাইরাল। আর মুখ খুলেই কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের মন্তব্য, 'প্রেমে হাত দেবেন না প্লিজ।' তাঁর যুক্তি, প্রেম চিরন্তন। এই শিখা কখনও নেভানো যায় না। ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্সির এই সিদ্ধান্তকে নীতিপুলিশ বলে পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছে।
ক্যাম্পাসের মধ্যে আর প্রেম করা যাবে না। শুক্রবার প্রকাশ্যে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নির্দেশ। বেশ কিছু ঘটনার উল্লেখ করে প্রেসিডেন্সির তরফে জানানো হয়, সেই কারণেই তাদের তরফে ছাত্র বা ছাত্রীদের সঙ্গে তাঁদের অভিভাবকদের ডেকেও কাউন্সেলিং করানো হচ্ছে। এরপরেই বিশ্ব বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে নীতিপুলিশের অভিযোগ ওঠে। যা অস্বীকার করেছে প্রেসিডেন্সি।
এর প্রতিবাদে শনিবারই ডিন অফ স্টুডেন্সকে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই। তাদের অভিযোগ, প্রেম বন্ধের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলির কাজকর্মও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আর এখানেই সোচ্চার মদন। তিনি জানিয়েছেন, প্রেম বন্ধ হয়ে গেলে বিয়ে কম হবে। আর বিয়ে কম হলে ডেলিভারি কমবে। ডেলিভারি কম হলে স্কুলে পড়ুয়া কম হবে। তাছাড়া দু’টো ছেলেমেয়ে একসঙ্গে বোটানি, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি থেকে জুলজি সব আলোচনা করতে পারে। কেউ বাধা দিতে পারে না।