গত পাঁচ তারিখ শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে স্কুলের সিলেবাসে নৈতিকতা পাঠের প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁর প্রস্তাব মতো তৎপরতা শুরু হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে। ইতিমধ্য়েই একদফা বৈঠকও করে ফেলেছেন কর্তারা। মূলত, প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত সিলেবাসে কী ভাবে এই পাঠ্যক্রমকে অন্তর্ভুক্ত করা যায়, তা নিয়ে মূলত আলোচনা হয়েছে। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে নতুন করে কোনও বই বা অন্য কিছু করা যায় কীনা, তা তাঁরা দেখছেন। একইসঙ্গে তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাব কার্যকর করতে তাঁরা বদ্ধপরিকর।
মূলত দুর্নীতি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে স্কুলের পাঠ্যক্রমে নৈতিকতা পাঠের প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে অনুরোধ করেছিলেন বিষয়টি নিয়ে একবার ভেবে দেখতে। তাঁর প্রস্তাব কার্যকর করতে এবার আদাজল খেয়ে নামল স্কুল শিক্ষা দফতর। প্রাথমিকের পাশাপাশি ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত নৈতিকতা পাঠের জন্য আলাদা করে কোনও বই তৈরি করা যায় কীনা, তা এবার খতিয়ে দেখা শুরু করল সিলেবাস কমিটি।
ইতিমধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, সিলেবাসে কিছুটা অংশ জুড়ে নৈতিক চরিত্র রয়েছে তবে তাঁরা ভাবছেন আলাদা করে কোনও বই তৈরি করা যায় কীনা। শুক্রবারের বৈঠকেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ প্রাথমিকের টেট, নিয়োগ সহ একাধিক বিষয় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়। পুজোর পরেই প্রাথমিকের নিয়োগ যাতে শুরু করা যায় তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তৎপরতা শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। শূন্যপদ পেলেই নিয়োগের প্রয়োজনীয় বিজ্ঞপ্তি দেবে বলে পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে।