আরজি কর হাসপাতালে ডিউটিরত মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র সমাজ’। পুলিশ এর অনুমতি না থাকলেও বড় জমায়েতের অনুমান করে মঙ্গলবার প্রশাসনের তরফে একাধিক রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। নবান্নের পার্শ্ববর্তী এলাকা সহ কলকাতার বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ রাখা হচ্ছে নবান্ন অভিযানের কথা মাথায় রেখেই।
কোনা এক্সপ্রেস (নিবরা থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতু), আন্দুল রোডের একাংশ, জিটি রোড (মল্লিক ফটক থেকে বেতাইতলা), হাওড়া স্টেশন থেকে গ্র্যান্ড ফোরসর রোড এইচআইটি ব্রিজ থেকে আরবি সেতু সহ একাধিক রাস্তায় গাড়ি চলাচল করবে না মঙ্গলবার। পুলিশের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত গাড়ি কোলাঘাট, ডানকুনি, হাওড়া, হাওড়া স্টেশন থেকে কলকাতার দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে আসতে চায় তাদের নিবেদিতা সেতু ব্যবহার করতে হবে।
রাজ্য পুলিশ স্পষ্টত জানিয়েছে, যে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে তা বেআইনি। অভিযান রুখতে খামতি রাখছে না কলকাতা পুলিশ। মঙ্গলবার মোতায়েন থাকবেন ৬,০০০ পুলিশকর্মী। ২৬ জন ডিসি (ডেপুটি কমিশনার) পদমর্যাদার আধিকারিকও থাকবেন পথে। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে নেওয়া হবে ব্যবস্থা। প্রায় সব জেলা থেকে উচ্চপদস্থ অফিসারদের কলকাতায় ডাকা হয়েছে। তাঁদের লাঠি, হেলমেট, বডি প্রটেক্টিভ গিয়ার রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মিছিল আটকাতে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে।
এই নবান্ন অভিযানে সমর্থন নেইএ বামপন্থী ছাত্র সমাজের। তাঁদের বক্তব্য, মঙ্গলবার ইউজিসি নেট পরীক্ষার দিন এই অভিযান ডাকায় হাজার-হাজার পরীক্ষার্থীর সমস্যা হবে।
২৭ অগস্ট যে নবান্ন অভিযানে রাজনীতির রং লাগছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পুলিশের কর্তারা। ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর এক সদস্য শহরের পাঁচতারা একটি হোটেলে রাজনৈতিক এক নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎও করেছেন বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। তবে ছাত্রসমাজের ডাকা সোমবারের সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করা হয়েছে, তাদের কোনও রাজনৈতিক মদত দেওয়া হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা উদ্যোক্তা না হলেও আন্দোলনে সমর্থন আছে।”