কথায় নয়, কাজেও ডিএ আন্দোলন রুখতে তৎপর রাজ্য প্রশাসন। শনিবার ডিএ আন্দোলনে যোগ দেওয়া ২০ জনকে শো-কজ নোটিস ধরাল নবান্ন। রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ২০ জনই স্কুল দফতরের বিভিন্ন পদে রয়েছেন। ওই সূত্রেই দাবি করা হয়েছে, সোমবার বাকিদের নোটিস ধরানো হবে। এরমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের বারবনি এবং মালদহের দুই শিক্ষকও রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আন্দোলনকে সমর্থন করে স্কুল না যাওয়ার। সরকারের এই পদক্ষেপে আন্দোলনকারীদের প্রতিক্রিয়া, তাঁরা চাইছিলেন সরকার শো-কজ করুক। ফলে এবার তাঁরা আদালতে যেতে পারবেন।
গত বৃহস্পতিবারই ধর্মঘট রুখতে নবান্ন থেকে কড়া নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। যেখানে পরিস্কার জানানো হয়েছিল, ধর্মঘটে যোগ দিলে একদিনের সার্ভিস ব্রেক করা হবে। এমনকী বেতন পর্যন্ত কাটা হবে। সরকারের এই নির্দেশিকা পাওয়ার পরে আন্দোলনকারীরাও পাল্টা হুমকি দিয়েছিলেন। তাঁদের হুঁশিয়ারি ছিল, বেতন কাটলে তাঁরা আদালতে যাবেন।
কার্যক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে সরকারি অফিস-কাছারির তুলনায় রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে গত ১০ তারিখ হাজিরা ছিল উল্লেখযোগ্য ভাবে কম। সরকারের একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ওই দিন প্রায় ৫ হাজার শিক্ষক স্কুলে যাননি। তাঁদের চিহ্নিত করে সোমবার শো-কজের নোটিস পাঠানো হবে বলেও নবান্ন সূত্রে খবর।