কলকাতা তখন ভোরের অপেক্ষায়। হঠাৎ-ই দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর একটি বাইকের দিকে নজর পড়ল। রেলিংয়ের পাশে হেলান দিয়ে দাঁড় করানো আছে বাইক। তার উপরে রাখা একটি কালো ব্যাগ। সঙ্গে একটি সিগারেটের প্যাকেট ও দেশলাই। পুলিশ এসে খানিকক্ষণ বাইকের পাশে ঘোরাঘুরি করে। কিন্তু কার বাইক, তা জানা যায়নি। বেলা গড়িয়ে পুলিশ জানাল, বাইকের মালিক নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা অরিজিৎ দে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, রবিবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে দ্বিতীয় হুগলি উপর থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ মেরেছেন। এই ব্যাপারে হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে পরিবার।
কী হয়েছিল রবিবার ? পরিবার সূত্রে দাবি, কিছুদিন আগে পাটুলির বাসিন্দা প্রিয়াম্পি দত্তকে বিয়ে করেছিলেন অরিজিৎ। তাঁদের মধ্যে প্রায় ১২ বছরের সম্পর্ক ছিল। গড়িয়ার একই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন দু জনের। মোবাইল ব্যবসায়ী অরিজিৎ, রোজই মদ্যপান করতেন। বচসা শুরু এখান থেকেই।
রবিবার সন্ধ্যার পর বাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন অরিজিৎ। রাতে বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় পড়ে পরিবার। অরিজিতের দিদির দাবি, সন্ধ্যায় শেষবার ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়। তারপর ফোন করলে শুধু রিং হয়। তবে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার আগে প্রিয়াম্পিকে ফোন করেছিলেন অরিজিৎ।