একদিকে উৎসব। অন্যদিকে দ্রোহ। এই পরিবেশেই এবার কেটে বাঙালির পুজো। তাতে অবশ্য তাদের পরিষেবা এবং যাত্রী সংখ্যায় কোনও হেরফের হয়নি। বরং গত বছরের রেকর্ড ভেঙে এবার আরও বেশি মানুষ বেছে নিয়েছিলেন তাদের পরিষেবাকে। এমনটাই দাবি করল কলকাতা মেট্রো রেল।
রেলের তরফে হিসাবে দাবি করা হয়েছে, এই বছর পুজোয় চতুর্থী থেকে দশমীর রাত পর্যন্ত তাদের পরিষেবাকে বিশেষ ভাবে পছন্দ করেছেন রাজ্যে প্রায় ৫১ লাখ মানুষ। যা গতবারের তুলনায় প্রায় দুই শতাংশ বেশি। এরমধ্যে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত দূরত্ব যাত্রী সংখ্যা হয়েছিল ৪৪.১৯ লাখ। এরপরেই ছিল এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া ময়দান। যেখানে ওই কদিনের লোক হয়েছিল ৩.৭৯ লাখ। শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভ রুটের যাত্রী সংখ্যা ছিল ২.৫৩ লাখ।
দুপুর থেকে শুরু হয়ে ভোররাত, সপ্তমী থেকে দশমী মেট্রো চলেছে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ রুটে। তাতে মেট্রোর হিসাব বলছে চতুর্থী থেকে দশমী পর্যন্ত শুধুমাত্র দমদমে প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ মানুষ ওঠা-নামা করেছেন। এরপরে রয়েছে কালীঘাট এবং শোভাবাজার। দুটি স্টেশনে যাত্রী সংখ্যা ৩.৬১ এবং ৩.১১ লাখ।
গঙ্গার নীচে মেট্রোর থিম করে এবার সবাইকে টেক্কা দিয়েছে উত্তর কলকাতার জগৎ মুখার্জি পার্ক। প্রথমবারের পুজোয় বাস্তবের এই স্টেশনও কিছু মেট্রোর ভাঁড়ার কার্যত ভরিয়ে দিয়েছে। চতুর্থী থেকে দশমীর হিসাবে দাবি প্রায় ২ লাখ মানুষ ওঠা-নামা করেছেন এসপ্ল্যানেডে। হাওড়া ময়দানে ভিড়ের সংখ্যা ছিল ১.২৩ লাখ।
আগামী বুধবার বাংলায় লক্ষ্মী পুজো। ওইদিনও অতিরিক্ত মেট্রো চলবে বলেই জানানো হয়েছে। কলকাতা মেট্রো রেল জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো সকালের মেট্রো নির্ধারিত সময়ে ছাড়বে। শেষের মেট্রোও আসবে নির্দিষ্ট সময়ে। সব লাইনে বাড়ানো হয়েছে ট্রেনের সংখ্যা।