কলকাতা ভারতের সবচেয়ে নিরাপদ শহর। এক নয়, একাধিকবার কেন্দ্রের একাধিক সংস্থার সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই দাবি। কিন্তু গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে এক মহিলা চিকিৎসকের উপর নির্যাতনের ঘটনায়, এই দাবি প্রশ্নের মুখে পড়ে যায়। এমনকী, প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় এই শহরে কর্মরত মহিলাদের রাতে কাজ করার বিষয়টি।
রাতে কর্মরত মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যও। নবান্নের তরফে জানানো হয়েছিল, মহিলাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে রাতের শিফটে মহিলাদের কম রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আরজি কর পরবর্তী সময় যা ফের সমালোচনার মুখে পড়তে হয় রাজ্য সরকারকে।
এমনকী, আরজি কর শুনানিতে রাজ্যের এই প্রস্তাবকে কার্যত ভর্ৎসনা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছিলেন, মহিলারা সাম্যের অধিকার চান। কী ভাবে তাঁরা রাতের শিফটে নিরাপদে কাজ করতে পারবেন, তা ঠিক করতে হবে রাজ্য সরকারকে। সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণের পরেই রাতে মহিলাদের কর্মক্ষেত্র যাতে নিরাপদ থাকে বেশ কয়েক দফার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। যে নির্দেশিকার মধ্যে ছিল রাত্রি সাথী হেল্পার।
রাতে মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাকে নিশ্চিত করতে একধাপ এগিয়ে গেল রাজ্য। কলকাতা পুলিশের অন্তর্গত ছটি থানা এলাকায় থাকায় সরকারি হাসপাতালগুলিতে চালু হল এই প্রকল্প। কলকাতা পুলিশের অধীনে থাকা ছটি থানা এলাকায় এই অ্যাপ কাজ করবে। এরমধ্যে চারটি সরকারি হাসপাতাল, একটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও একটি জেলা হাসপাতাল। প্রতিটি হাসপাতালের দায়িত্বে একজন করে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার।
এর আগে সুপারিশ করা হয়েছিল, সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা বাড়াতে সুরক্ষা বলয় তৈরি করতে হবে। এই সুরক্ষা বলয়ের দায়িত্বে থাকবে কলকাতা পুলিশ, সেনা, নৌসেনার অবসরপ্রাপ্ত অফিসাররা। মূলত কলকাতা ও রাজ্যের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে এই সুরক্ষা বলয় তৈরি করতে হবে। নজরদারির সঙ্গে পর্যবেক্ষণের কাজে নিযুক্ত করা হবে তাঁদের।
কী ভাবে কাজ করবে অ্যাপ ?
প্রথমে প্লে-স্টোরস থেকে গিয়ে এই অ্যাপ আপনাকে ডাউনলোড করতে হবে। রাতে কর্মরত মহিলাদের স্বার্থে তৈরি হয়েছে এই অ্যাপ। যে অ্যাপে থাকছে অ্যালার্মের ব্যবস্থা। যা নিকটবর্তী থানার সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। এদিন থেকে চালু হওয়া রাত্রি সাথী হেল্পার চালু নিয়ে সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন মহিলারা।