আবার শিরোনামে তৃণমূলের চিকিৎসক-বিধায়ক নির্মল মাঝি(Dr Nirmal Maji)। তাঁর পাঠানো রোগী ভর্তিতে দেরি। তার জেরেই জরুরি বিভাগে ঢুকে কর্তব্যরত প্রৌঢ় চিকিৎসককে ‘অশালীন’ ভাষায় হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল নির্মল মাজির(Nirmal Maji threats Senior Medical Officer) বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(CM Mamata Banerjee) কাছে পাঠান ওই সিনিয়র অন ডিউটি মেডিক্যাল অফিসার। তবে অভিযোগ জানানোয় ফের হুমকির মুখে পড়তে পারেন বলেও চিঠিতে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। উল্লেখ্য, নির্মল আবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বটে। এর আগেও সরকারি হাসপাতালে কুকুরের ডায়ালিসিস(Dialysis of a Dog) করানোর বিষয়ে নাম জড়িয়েছিল তাঁর।
ওই চিকিৎসক কুণাল পানের অভিযোগ, নির্মল(TMC MLA Nirmal Majii) বিভিন্ন রোগীকে প্রায়ই জরুরি বিভাগে পাঠান এবং তৎক্ষণাৎ ভর্তির চাপ দেন। যাঁদের অনেকেরই ভর্তির প্রয়োজন থাকে না। সেভাবেই বুধবার বিকেল ৩টে ১০ নাগাদ ৫৭ বছরের এক রোগীকে ভর্তির জন্য পাঠান নির্মল। তখন জরুরি বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন ৬৪ বছরের ওই চিকিৎসক। তাঁর দাবি, সাড়ে তিনটে নাগাদ সেখানে হাজির হন নির্মল ও হাসপাতালের এক ডেপুটি সুপার। কুণালবাবুর অভিযোগ, কেন রোগীকে ভর্তি করতে দেরি হচ্ছে, তা নিয়ে চেঁচামেচি শুরু করেন নির্মল(TMC MLA Nirmal Maji)। ওই চিকিৎসকের অভিযোগ, নির্মল তাঁকে বিজেপির হার্মাদ বলে হুমকি দেন। রোগীর পরিজনদের সামনেই তাঁকে বিভিন্ন প্রাণীর নাম করে গালিগালাজ করেন। এমনকি, ক্ষমতাবলে নির্মল তাঁর রেজিস্ট্রেশন আটকে রাখার হুমকি দেন বলেও অভিযোগ।
আরও পড়ুন- Complained against Roddur Roy: মুখ্যমন্ত্রীর নামে অবমাননাকর পোস্ট রোদ্দুর রায়ের, একাধিক থানায় অভিযোগ
সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনার জেরে বারংবার খবরের শিরোনামে এসেছেন তৃণমূলের(TMC) এই বিধায়ক। চিকিৎসক মহলের একাংশের প্রশ্ন, একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে বার বার অভিযোগ উঠলেও তিনি পার পেয়ে যাচ্ছেন কীভাবে? অন্যদিকে, সরকারি চিকিৎসকদের সংগঠন ‘অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টর্স(AHSD)’-এর সাধারণ সম্পাদক মানস গুমটা বলেন, ‘‘কোনও চিকিৎসকের গাফিলতি থাকলে নিয়মানুযায়ী রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান(Dr Nirmal Maji) ব্যবস্থা নিতে পারেন। কিন্তু হেনস্থা বা গালিগালাজ করে চিকিৎসক সমাজকে অপমান করা হচ্ছে। জনগণকে খেপানো হচ্ছে।’’