ডিএ ধর্মঘটের কোনও প্রভাবই পড়েনি। সরকারি দফতরে কাজ সঠিকভাবেই চলেছে। শুক্রবার এমনই বিবৃতি জারি নবান্নের। সরকারি কর্মচারীরা নিজের দফতরে সঠিক সময়ে যোগ দিয়েছেন ও কাজও করেছেন। পাশাপাশি নবান্ন জানিয়েছে, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ধর্মঘটে যাঁরা সামিল হয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।
রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ-র দাবিতে শুক্রবার সকালে কর্মবিরতির ডাক দেয় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। তবে নবান্ন আগেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেয়, গরহাজির থাকলে কর্মচারীদের বেতন কাটা হবে। সার্ভিস ব্রেকও পড়বে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, পরিবারের কারও মৃত্যু, ৯ মার্চের আগে থেকে গুরুতর অসুস্থতা বা মাতৃত্বকালীন ছুটি, এই চার ক্ষেত্রেই শুধু ছাড় দেওয়া হয়েছিল। নবান্ন জানিয়েছে, শুক্রবার ১০ শতাংশ কর্মী কাজে যোগ দেননি, তাদের বৈধ কারণ ছিল। তবে তার বাইরে যারা নির্দেশ অমান্য করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।
নবান্নের এই বিবৃতির পর ডিএ আন্দোলনকারীদের দাবি নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি দাবি করে, রাজ্য প্রশাসন স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। কর্মচারীদের থেকে বিপুল সাড়া পাওয়া গিয়েছে। নবান্ন বিবৃতি দিয়ে সব দাবিই উড়িয়ে দিয়েছে।