পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা পর্ষদ মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) স্বীকার করেছে যে, টেটে (TET Exam) নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্য করা হয়েছিল। ২০১৪ সালে টেট (TET) — এ বসা ২০ লক্ষেরও বেশি প্রার্থীর সবাইকেই বাড়তি ১ নম্বর দেওয়া হয়নি। মাত্র ২৬৯ জনের ১ নম্বর করে বাড়ানো হয়েছিল। মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টে এই বৈষম্যের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে পর্ষদ। তবে পর্ষদের আইনজীবীর দাবি, এই ঘটনার পেছনে কোনও অপরাধমূলক অভিসন্ধি ছিল না।
২০১৪ সালের প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের টেটে বসেছিলেন প্রায় ২০ লাখ পরীক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে মাত্র ২৬৯ জনকে পর্ষদের তরফে বাড়তি ১ নম্বর দেওয়া হয়েছিল। এর জেরে তাঁরা চাকরি পেয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা হয়। আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে ওই ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: অফলাইনেই হবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল ডিভিশন বেঞ্চে
আদালতের সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করে পর্ষদ। মঙ্গলবার সেই বেঞ্চের সামনে পর্ষদের আইনজীবী লক্ষ্মী গুপ্ত স্বীকার করে নেন যে, অন্য পরীক্ষার্থীদের নম্বর না বাড়িয়ে শুধু ওই ২৬৯ জনের নম্বর বাড়ানো হয়েছে। এদিন আদালতে এই বৈষম্যমূলক আচরণ ঠিক হয়নি। কিন্তু কোনও অপরাধমূলক অভিসন্ধি থেকে এই কাজ করেনি পর্ষদ।
যদিও পর্ষদের আইনজীবীর এই দাবি মানতে চায়নি আদালত। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার পর্ষদের আইনজীবীকে বলেন, প্রাথমিক টেট পাবলিক সার্ভিস পরীক্ষা, এটি কোনও ক্লাস টেস্ট নয় যে শিক্ষক কোনও ছাত্রকে যোগ করতে ভুলে যাবেন।
পর্ষদের আইনজীবী লক্ষ্মী গুপ্তা জানান, টেটের ফল প্রকাশের পর প্রশ্নপত্রে ভুল রয়েছে দাবি করে ২৮০০ পরীক্ষার্থী পর্ষদে অভিযোগ করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ২৬৯ জনকে পরীক্ষায় পাশ করানোর জন্য ১ নম্বর করে বাড়ানো হয়েছিল।