পল্লবী দে (Pallavi Dey), বিদিশা দে মজুমদার (Bidisha Dey Majumder) ও তারপর মঞ্জুষা নিয়োগী (Manjusha Niyogi)। কলকাতার বুকে তিন অভিনেত্রী মডেলের অস্বাভাবিক মৃত্যু । এই নিয়ে এবার মুখ খুললেন অভিনেত্রী সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। তিনি জানান, দ্রুত ওপরে ওঠার ইচ্ছে. উচ্চাকাঙ্খাই মানসিক অসুখ ডেকে আনছে। সেখান থেকেই হয়তো চরম সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন পল্লবী, বিদিশারা।
শুক্রবার বসিরহাটের ১ নম্বর ব্লকের সোলাদানা বাদারে রক্তদান শিবিরে যোগ দেন নুসরত । তিনি বলেন, "অভিনেত্রীর মৃত্যু রীতিমতো দুঃখজনক। এরকম কাজ যাতে কেউ না করেন, ভগবানের কাছে এই প্রার্থনা করি।" তবে নুসরতের মতে, "ইদানিং নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রীদের উচ্চাকাঙ্খা, বিলাসিতা, শিখরে উঠতে চাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। আর তা না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন অনেকে। এটা খুবই দুঃখের।"
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত উচ্চাশাই ডেকে আনল বিপদ, দাবি মঞ্জুষার পরিবারের
বুধবার বিকেলে নাগেরবাজারের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে বিদিশা দে মজুমদারের ঝুলন্ত দেহ। গলায় ওড়না লাগিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায় বিদিশার দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। বিদিশার দেহের পাশে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার একইভাবে আরও এক মডেল ও অভিনেত্রী মঞ্জুষার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এর আগে টেলি অভিনেত্রী পল্লবী দে-র মৃত্যু নিয়ে রহস্য দানা বাঁধে।