হরিদেবপুরে ক্য়াব বাইক চালক অয়ন মণ্ডলের খুনের ঘটনায় গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে হল সাত। এবার ভিন রাজ্য় থেকে গ্রেফতার করা হল এই খুনে জড়িত আর এক যুবককে। ওই যুবকের পরিচয় সে অয়নের বান্ধবীর ভাইয়ের বন্ধু। ঘটনার পর থেকে ওড়িশার জাজপুরে গা ঢাকা দিয়েছিল। অভিযোগ, কুঁদঘাট থেকে যে গাড়ি ভাড়া করে অয়নের দেহ মগরাহাটে ফেলা হয়েছিল, সেই গাড়ির চালককে ২০০০ টাকা ভাড়া দিয়েছিল এই যুবক। পুলিশের জেরায় ধৃত ওই গাড়ির চালক জানিয়েছে, যে দুই যুবক তার কাছে এসে গাড়ি ভাড়া করেছিল, তাদের মধ্যে এই যুবক অন্যতম।
শুক্রবার অয়ন মণ্ডলকে খুনের অভিযোগ বান্ধবী, বান্ধবীর মা রুমা জানা ও ভাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শনিবার গ্রেফতার করা হয় বাবা দীপক জানা, ভাইয়ের এক বন্ধু এবং ওই গাড়ির চালককে। তার কিছুক্ষণের মধ্য়ে আরও এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে হরিদেবপুরের ঘটনায় দিদির সম্মান রাখতেই ইট দিয়ে মৃত অয়ন মণ্ডলের মাথায় আঘাত করেছিল বান্ধবীর নাবালক ভাই। শনিবার প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই দাবি করা হল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দশমীর রাতে মদ খেয়ে বান্ধবীর বাড়িতে গিয়েছিল পেশা ক্য়াব বাইক চালক বছর ছাব্বিশের অয়ন মণ্ডল। তদন্তকারীদের দাবি, রমাকান্তপুরের বাড়িতে বান্ধবীকে না পেয়ে ক্ষেপে যান অয়ন। শুরু হয় বান্ধবীর বাড়ির লোকেদের সঙ্গে বচসা। এরপর বান্ধবী ফিরলে তাকেও মারধর করে বলে অভিযোগ। সেইসময় পিছন থেকে অয়নের মাথায় ইঁট দিয়ে আঘাত করে ওই নাবালক।
পুলিশের দাবি, বাড়ির একটি ঘরে বান্ধবীর সঙ্গে হাতাহাতি হয় অয়নের। প্রথমে অয়নকে থামানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় তাঁর মাথায় ইঁট জাতীয় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে আসেন বান্ধবীর বাবা দীপক জানা। মূলত তাঁর নির্দেশেই দেহ হরিদেবপুর থেকে মগরাহাটে পাঠানো হয়। ওই রাতে একটি গাড়িতে দেহ পাচার করা হয়। মৃতদেহ বুঝতে পারায় প্রথমে নিয়ে যেতে অস্বীকার করেছিলেন গাড়ির চালক। তারপর তাঁকেও টাকার লোভ দেখানো হয়।