রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলের ভোটে ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ। প্রায় হাজার দুয়েক ব্যালট বাইরে থেকে এনে বক্সে ফেলার অভিযোগ সরকারপন্থীদের বিরুদ্ধে। এমনই অভিযোগ তুলেছে রাজ্যের ছ'টি চিকিৎসকদের মঞ্চ ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টরস্’। তবে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার সরকারপন্থী চিকিৎসকদের।
চিকিৎসকদের ছ’টি সংগঠনের যৌথ মঞ্চের অভিযোগ, একাধিক ভিডিওতে ধরা পরেছে ছাপ্পা দেওয়ার ছবি। এমনকি, ছাপ্পা দিতে আসা এক ইন্টার্নকে ধরেও ফেলেন বিরোধী দলের প্রার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, ইন্টার্নদের এই ভোটে ভোটাধিকার থাকে না। তাহলে কীসের ভিত্তিতে একগুচ্ছ ব্যালট নিয়ে ওই ছাত্রটি জমা দিতে এলেন, প্রশ্ন তোলেন বিরোধী মঞ্চের চিকিৎসকরা। এই ঘটনার ভিডিও তুলে ধরে চিকিৎসক বিষাণ বসু সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, 'দুপুর থেকে মেডিকেল কাউন্সিল অফিসে রয়েছি। মাঝেমধ্যে এক-দুজন আসছেন। ব্যালট জমা দিচ্ছেন ড্রপবক্সে। এরকমই চলছিল। আচমকা পটবদল। জনাকয়েক অল্পবয়সী ছেলে, ডাক্তারি ছাত্র নাকি ইন্টার্ন বলা মুশকিল, হাজির হলো। চালচলন বা মুখের ভাষা কিংবা বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, কোনোটিই চিকিৎসক-সুলভ বা হবু চিকিৎসকের মতো নয় - মানে, এঁরা যদি ভাবীকালের ডাক্তার হন, তাহলে সবারই বরাতে দুর্ভোগ আছে, এটুকু বলা যেতেই পারে।' অন্যদিকে, আরেক চিকিৎসক তাপস বিশ্বাসের অভিযোগ, বহিরাগতরা ভোটে এসে ব্যাপক হারে ছাপ্পা দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবিও তুলে ধরেন তিনি।
বিরোধী সংগঠনের বক্তব্য, একজন চিকিৎসকের বাড়িতে একটি ব্যালট যাওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে নিজে এসে সেই ব্যালট বাক্সে ফেলা অথবা স্পিড পোস্টে পাঠানোই নিয়ম। কিন্তু কী করে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা এত ব্যালট পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসকদের ছ’টি সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। যদিও শাসক-ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক সংগঠন এই বিষয়ে সমস্ত অভিযোগ চাপিয়েছে রিটার্নিং অফিসারের ঘাড়ে।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। তিনজনকে আটকও করা হয়। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। সবমিলিয়ে মেডিকেল কাউন্সিলের ভোটে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ঘিরে শাসক-বিরোধী চর্চা তুঙ্গে।