নজরুল মঞ্চে কেমন ছিল কেকে (Singer KK)-র মঙ্গল সন্ধ্যা? শেষ সন্ধ্যাও বটে, কিন্তু তা তো তখন জানতেন না সদ্য প্রয়াত শিল্পী এবং তাঁর অগণিত অনুরাগীরা। আয়োজকদের তরফে কি খামতি ছিল? তারকা গায়ক কেকে-র আকস্মিক মৃত্যুর পর উঠছে সেরকম বহু প্রশ্ন।
কেকে-র আগেই ওই অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করা শিল্পী শুভলক্ষ্ণী দে একটি সংবাদ্মাধ্যমকে জানিয়েছেন অনিয়ন্ত্রিত ভিড়ের কারণে নজরুল মঞ্চের বাইরে অনেকক্ষণ গাড়িতে বসে থাকতে হয়েছিল কেকে-কে। সেখান থেকে বেশ কিছুক্ষণ পর গ্রিনরুমে নিয়ে যাওয়া হয় শিল্পীীকে।
মানসিকভাবে অসুস্থ দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন, কেকে-কে নিয়ে রূপঙ্করের মন্তব্যে কটাক্ষ নেটিজেনদের
নজরুল মঞ্চের (Najrul Mancha) দরজা বারবার খোলা এবং বন্ধ করা হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই। এসি আদৌ ঠিকঠাক কাজ করছিল কিনা, নিশ্চিত নন দর্শকদের অনেকেই। নজরুল মঞ্চে দর্শক ধরে মেরেকেটে আড়াই হাজার। একটি অসমর্থিত সূত্রের দাবি, অন্তত সাত হাজার লোক ঢুকেছিলেন নজরুল মঞ্চে। ভিড় সরাতে একটা সময় সেখানে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র থেকে রাসায়নিক স্প্রে করা হয়েছিল বলেও জানিয়েছেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা অনেকেই। সব মিলিয়ে, এটুকু স্পষ্ট, অনুষ্ঠান মঞ্চের আশেপাশে খুবই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
মঙ্গলবার সন্ধের নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠানের যে সব ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে, তার অধিকাংশেই দেখা গেছে, গানের মাঝে বার বার রুমালে মুখ-কপালের ঘাম মুছছেন শিল্পী। মাথাতেও ওই রুমাল বোলাচ্ছেন। একাধিক বার ছোট বোতল থেকে গলায় ঢালছেন জল। তবে কি অনুষ্ঠানের সময়েই অসুস্থ বোধ করছিলেন? । মঞ্চের আলো নিভিয়ে দিতে বলেছিলেন শিল্পী। আলো সহ্য করতে পারছিলেন না তাহলে? কেকে-র আকস্মিক মৃত্যুর পর এমনই নানা প্রশ্ন উঠছে।
তবে কেকে-র পারফরম্যান্সে শারীরিক অস্বস্তির আঁচ পড়েনি এতটুকু। আর কী অদ্ভুত সমাপতন। তাঁর গলায় জনপ্রিয় 'ইয়াদ আয়েঙ্গে ইয়ে পল' গেয়ে বিদায় নিয়েছেন।