কার সুপারিশে প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি হয়েছে? তা জানতে এবার পরেশকে তলব ইডির। সোমবার সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। সূত্রের খবর, এই নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার বেলা ১২ টার কিছু আগে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন পরেশ। তাঁর বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, তিনি প্রভাব খাটিয়ে নিজের মেয়েকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, পরেশ অধিকারী তাঁর মেয়ে অঙ্কিতাকে কীভাবে চাকরি পাইয়ে দিলেন। কার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন মেয়ের চাকরির জন্য। এছাড়াও নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর বয়ান রেকর্ড করার জন্য এদিন তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
২০১৮ সালে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায়(SSC Recruitment Corruption) পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikary) মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী পেয়েছিলেন ৬১ নম্বর। আর এই মামলায় মামলাকারী ববিতা সরকার পেয়েছিলেন ৭৭ নম্বর।
কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court) জানায়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এই নম্বরের ফারাক আসলে অনেকটা। তার থেকেও বড় কথা হল, ববিতা সরকার পারসোনালিটি টেস্ট দিয়েছিলেন। তাতে ৮ নম্বর পেয়েছিলেন। কিন্তু অঙ্কিতা অধিকারী পারসোনালিটি টেস্টই দেননি। এর থেকেই পরিষ্কার যে অঙ্কিতা অধিকারীকে(Ankita Adhikary) মেধা তালিকায় নিয়ে আসা হয়।
মেধা তালিকা তথা ওয়েটিং লিস্টে ২০ নম্বরে ছিলেন ববিতা সরকার। অঙ্কিতাকে ১ নম্বরে ঢোকানোয় ববিতা চলে যান ২১ নম্বরে। এই অবস্থায় মেধা তালিকা থেকে প্রথম ২০ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। ফলে ববিতা বঞ্চিত হন।
হাই কোর্টের নির্দেশে পরেশের মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। অঙ্কিতার চাকরি দিয়ে দেওয়া হয় ওই তালিকার 'যোগ্য প্রার্থী' ববিতা সরকারকে। অঙ্কিতার চাকরির বেতনও দিয়ে দেওয়া হয় ববিতাকে।