এও এক শতক। এও এক সেঞ্চুরি। মঙ্গলবার যা পূর্ণ করলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। তবে এই শতকে আনন্দ নেই। আছে শুধু অপমান, অভিযোগ আর মাথা হেঁট হওয়ার মতো কাহিনি। তাই এমন শতক চান না তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন মহাসচিব। গত ২৩ জুলাই স্কুল সার্ভিসে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তারপর থেকে আজ, মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলের মধ্যেই ১০০ দিন কাটিয়ে দিলেন বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক।
সোমবারই আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। তাঁকে বাঁচতে দেওয়া হোক বলেও বিচারকের কাছে আর্তি জানিয়েছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ সওয়াল-জবাবের পর পার্থর জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। এদিন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের শারীরিক অবস্থা নিয়েও সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী। সেই আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে আদালত। তাই এই শতরানে কোনও গড়িমা নেই বলেই মনে করেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। তবুও আদালতে দাঁড়িয়ে সোমবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, ১০০ দিন কেটে গেল, কিন্তু এখনও কিছু পাওয়া গেল না।
স্কুল সার্ভিসে নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় শুরু থেকেই অবশ্য প্রাক্তন মহাসচিবের মাথা থেকে হাত সরিয়ে নিয়েছিল শাসক তৃণমূল কংগ্রেস। এরপরেও ৯৯ দিনের মাথায় দাঁড়িয়েও পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় দাবি করেছিলেন, তিনি এখনও ১০০ শতাংশ তৃণমূলের সঙ্গেই রয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই দাবির এখন আর কোনও সারবত্তাই নেই। কারণ, দুর্নীতিতে নাম জড়ানো পর থেকেই ধীরে ধীরে তাঁর হাত থেকে সব ক্ষমতাই কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার এই ইস্য়ুতে দিলীপ ঘোষের ফের কটাক্ষ, পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় তৃণমূলের সঙ্গে ১০০ শতাংশ হয়তো আছেন, কিন্তু তৃণমূল কী কখনও পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের পাশে ছিল ?