নিয়োগ মামলায় মিশ্র রায় কলকাতা হাই কোর্টে। ইডি মামলায় জামিন হল তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা কুন্তল ঘোষের। কিন্তু দুই বিচারপতির ভিন্ন মতে ঝুলে রইল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন। তাঁর জামিন এই মামলায় হবে কীনা, তা ঠিক করবে হাই কোর্টের তৃতীয় বেঞ্চ। এই বেঞ্চ তৈরি করবেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি।
দু বছরের বেশি সময় নিয়োগ কেলেঙ্কারির ঘটনায় জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের বেঞ্চে তাই সবার নজর ছিল। নিয়োগ কেলেঙ্কারির জামিন মামলায় বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনায় অভিযুক্ত নয় জনের জামিন মঞ্জুর করেন। কিন্তু বিচারপতি সিনহা রায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ পাঁচ জনের জামিন খারিজ করে দেন। বাকি চার জনের জামিনের নির্দেশ দেন। ফলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, অশোক সাহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এবং শান্তিপ্রসাদ সিনহার জামিনের ভাগ্য এখন তৃতীয় বেঞ্চের হাতে।
এর আগেই অবশ্য কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ রায় ইডির করা মামলায় জামিন মঞ্জুর করেন তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা কুন্তল ঘোষের। যদিও এখনই কুন্তলের জেলমুক্তি হচ্ছে না মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ কুন্তলের। কারণ, নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছে কেন্দ্রের আর এক সংস্থা সিবিআই।
এদিন বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ রায়ের নির্দেশ, শর্তসাপেক্ষে জামিন পাবেন অভিযুক্ত। অভিযুক্তকে পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। নিম্ন আদালতে শুনানির সময় তাঁকে হাজির থাকতেই হবে। মোবাইল নম্বর জমা দিয়ে দিতে হবে আদালতে। ওই মোবাইল নম্বরটি পরিবর্তন করা যাবে না। তা ছাড়া, কোনও সাক্ষীকে প্রভাবিত করতে পারবেন না।
গরু থেকে কয়লা, রেশন থেকে নিয়োগ, কুন্তলের জামিনের ঘটনায় আদালতে ফের একবার ধাক্কা খেল কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। গত বছরের ২১ জানুয়ারি নিউটাউনের ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল কুন্তল ঘোষকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ঘুর পথে প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার নাম করে বাজার থেকে প্রায় ২০ কোটি গিয়েছিল তাঁর পকেটে।