টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটি আবাসনে আরও তিনটি ফ্ল্যাট ‘বেনামে’ কিনেছিলেন পার্থ। এমন তথ্য হাতে পেয়েছে ইডি। আবাসনের বাসিন্দারাও বলছেন, অন্য নামে কেনা হলেও সেগুলি প্রাক্তন মন্ত্রীর বলেই জানেন তাঁরা। এর মধ্যে একটিতে নাকি বিলাসবহুল ‘পেন্ট হাউস’ বানিয়েছিলেন পার্থ।
অর্পিতা যে ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার হয়েছেন, সেটি-সহ চারটি ফ্ল্যাট নিয়ে আরও রহস্য রয়েছে। আবাসনের বিশেষ অ্যাপ-এ ওই চারটি ফ্ল্যাটের উল্লেখই নেই! তার ফলে ফ্ল্যাটে কে, কারা, কখন আসতেন-যেতেন তার তথ্য জানতে পারত না কেউই। আবাসন পরিচালন কমিটির কর্তারা বলছেন, তাঁরা কিছুই জানেন না। অনেক প্রশ্নের পর কমিটির সম্পাদক অমিতাভ ভট্টাচার্য শুধু বললেন, ‘‘বিচারাধীন বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’ তবে আবাসনের বাসিন্দারা অমিতাভ কমিটির ‘সম্পাদক’ বলে জানালেও তিনি জানালেন, তিনি ‘অন্যতম ডিরেক্টর’।
পেন্ট হাউস সাধারণত বিলাস-ব্যসনের জন্য তৈরি করা হয়। পুরনোদিনে পেন্ট হাউসের একটি দেওয়াল ঢালু করে বানানো হত। এখন তেমন প্রায় করা হয় না। তবে পেন্ট হাউস সাধারণত হয় বহুতলের উপরে। যে বাড়িতে বিলাসের সমস্ত উপকরণ ঢালাও মজুত থাকে। আবাসন সূত্রে খবর, ১৯ এবং ২০তলায় ওই তিনটি ফ্ল্যাটের ভিতর দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থাও রয়েছে।
আবাসন পরিচালক কমিটির এক সদস্য শুক্রবার বলেন, ‘‘এখানে চারটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর মধ্যে একটিতে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় থাকতেন। সেই ফ্ল্যাটটি টাওয়ার ২-এর ১-এ। সেখান থেকেই টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়। কিন্তু ওই টাওয়ারেরই ১৯তলায় রয়েছে দু’টি ফ্ল্যাট। ১৮-ডি এবং ১৮-ই ফ্ল্যাট দু’টিকে এক করে এখন সেখানে রাখা রয়েছে পার্থর শখের সারমেয়দের। ওই ফ্ল্যাট থেকেই আবার উপরের তলায় ১৯-আই ফ্ল্যাটে যাওয়া যায়। সেটি বিলাসবহুল পেন্ট হাউস।’’
ওই কর্তা আরও জানিয়েছেন, দোতলার ১-এ ফ্ল্যাটটি এবং ১৯তলার ১৮-ডি এবং ১৮-ই ফ্ল্যাটগুলি কেনা হয়েছিল বিভিন্ন সংস্থার নামে। প্রথমটির আসল মালিক ‘সেন্ট্রি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড’। ১৯তলার ফ্ল্যাট দু’টি ‘অ্যালকোভ রিয়েলটি প্রজেক্টস’ বলে একটি সংস্থার নামে। যেটিতে ‘পেন্ট হাউস’ বানানো হয়েছে, সেটির মালিক জনৈকা শর্মিষ্ঠা চৌধুরী।