প্রথম শ্বাসরোধ। তারপর টুকরো করা হয় দেহ। একটি ট্রলি ব্যাগের মধ্যেই হয়তো সেই টুকরো দেহ পাচার করা হয়েছিল। কলকাতায় বাংলাদেশি সাংসদের খুন হওয়ার তদন্তে প্রাথমিক ভাবে এমনটাই মনে করছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, গত ১৩ তারিখ নিউটাউনের ফ্ল্যাটে এসেছিলেন আওয়ামি লিগে ঝিনাইদহের সাংসদ। ওই দিনই তাঁকে খুন করা হয় বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ।
তারপর তিন দিন ধরে শরীর বিভিন্ন অংশ সরানো হয়েছিল বলে দাবি তদন্তকারীদের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউটাউনের ওই ফ্ল্যাট থেকে বেশ কিছু প্লাস্টিক উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও বাইরের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে বেশ কিছু ছবি। যা থেকে এই সন্দেহ বাড়ছে তদন্তকারীদের। বাংলাদেশ সরকার দাবি করেছে, সাংসদ খুনে তারা তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।
ইতিমধ্যেই তদন্ত হাতে নিয়ে কমপক্ষে ছটি দলে কাজ করছে সিআইডি। কোনও রক্তের বা ধস্তাধস্তির চিহ্ন না পেলেও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নমুনা সংগ্রহ করেছেন। বারাকপুর কমিশনারেটের অন্তর্গত বরাহনগর থানায় প্রথম সাংসদের নিখোঁজের ব্যাপারে ডায়েরি করেছিলেন তাঁর মেয়ে। কারণ, কলকাতায় চিকিৎসা করা এসে এই এলাকায় এক বন্ধুর বাড়িতে প্রথমে উঠেছিলেন সাংসদ।
নিউ টাউন অঞ্চলে যে ফ্ল্যাটে আনোয়ারুল আজিম উঠেছিলেন, সেটি রাজ্য সরকারের আবগারি দফতরের কর্তা সন্দীপকুমার রায়ের। সন্দীপের কাছ থেকে ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন আখতারুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি। আখতারুজ্জামানই ওই ফ্ল্যাটে আনোয়ারুলের থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।