আগেই অনুমান করা হয়, ভারী কিছুর আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে অয়নের। সোমবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসতেই সেই অনুমানই বদলে গেল প্রমাণে। রিপোর্টেই স্পষ্ট, ভোঁতা ও শক্ত কিছুর আঘাতেই মারা যায় অয়ন মন্ডল। পাশাপাশি, দেহে একাধিক আঘাতের উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। রিপোর্ট পাঠানো হয় ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের সদর দফতরে। রিপোর্টে আরও দাবি, ময়নাতদন্তের অন্তত ২৪ ঘন্টা আগেই মারা যায় হরিদেবপুরের ওই অ্যাপ ক্যাব চালক।
অন্যদিকে, অয়নের পিসির পর বন্ধু রাজু প্রামাণিকও হুমকির অভিযোগ করেন। তাঁর দাবি, অয়নের বান্ধবীর পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় বিভিন্ন লোককে দিয়ে তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। একাধিক অচেনা নম্বর থেকে তার কাছে এসেছে হুমকি ফোন, অভিযোগ রাজুর। যার ফলে এখন রীতিমতো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি। উল্লেখ্য, এই রাজু প্রামাণিক অয়নের সেই বন্ধু, যে দশমীর রাতে অয়নের বান্ধবীর বাড়ির বাইরে পাহারায় ছিল।
সোমবার হরিদেবপুরে অ্যাপ ক্যাব চালক অয়ন মন্ডলের হত্যা রহস্যের পুনর্নিমাণ করা হয়। এদিন ভোরে বান্ধবী ও তার মাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে গোটা ঘটনার পুনর্নিমাণ চলে। পুলিশের একাংশের দাবি, শুধু ওই ৭ জন নয়, অয়নকে খুনের দিন ঘটনাস্থলে ছিলেন আরও কেউ কেউ।